বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > করোনার তৃতীয় স্রোত কবে আছড়ে পড়তে পারে ? ওমিক্রন ত্রাসের মাঝে জবাব বিশেষজ্ঞের

করোনার তৃতীয় স্রোত কবে আছড়ে পড়তে পারে ? ওমিক্রন ত্রাসের মাঝে জবাব বিশেষজ্ঞের

করোনার তৃতীয় স্রোতের সম্ভাবনা নিয়ে নয়া দাবি গবেষণায়। ফাইল ছবি : পিটিআই (PTI)

দৈনিক ৮ লাখ পর্যন্ত যেতে পারে আক্রান্তের সংখ্যা, করোনার তৃতীয় স্রোত নিয়ে আশঙ্কার বার্তা।

উৎসবমুখর ডিসেম্বর কাটিয়ে জানুয়ারি পড়তেই দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ওমিক্রন তার সংক্রামক ক্ষমতা নিয়ে যেভাবে রকেট গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে করোনার থার্ড ওয়েভ বা তৃতীয় স্রোত নিয়ে আশঙ্কা, জল্পনা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কানপুর আইআইটির অধ্যাপক মণীন্দ্র আগরওয়াল তাঁর গবেষণার 'সূত্র মডেল' অনুযায়ী দাবি করছেন, জানুয়ারি মাসের শেষ থেকেই দেশে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় স্রোত। আর তা খুব একটা কম ক্ষতি করবে না। সূত্র মডেল অনুযায়ী, এই তৃতীয় স্রোত যদি আসে, তাহলে তা সর্বাধিক দৈনিক ৮ লাখ মানুষকে করোনা আক্রান্ত করবে।

জানুয়ারি মাসের শেষ কিম্বা ফেব্রুয়ারির মাসের শুরুর দিকে দেশে ভয়ঙ্কর করোনার তৃতীয় স্রোত আছড়ে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অধ্যাপক মণীন্দ্র আগারওয়াল। ওমিক্রনের নেতৃত্বাধীন করোনার এই স্রোত দৈনিক ৪ থেকে ৮ লাখ মানুষকে (৭ দিনের গড়ে) আক্রান্ত করতে পারে বলে তাঁর দাবি। এমনকি করোনার জেরে হাসপাতালে বেডের চাহিদা ১.৫ লাখে পৌঁছতে পারে। তবে তিনি দাবি করছেন, তৃতীয় স্রোত নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে , কারণ হাসপাতালে ভর্তির পরিমাণ সেভাবে বাড়বে না এই স্রোতে। মণীন্দ্র আগারওয়ালের দাবি, 'স্থানীয়ভাবে বেডের কমতি দেখা যেতে পারে। তাই উপযুক্ত পরিকল্পনা ও যত্ন অবশ্য়ই দরকার।' উল্লেখ্য, তৃতীয় স্রোতের আশঙ্কা নিয়ে এই গবেষণায় কানপুর আইআইটির মণীন্দ্র আগারওয়াল ছাড়াও রয়েছেন,আইজিআইবির অনুরাগ আগরওয়াল, টিএইচএসটিআয়ের প্রমোদ গর্গ, এমইউএইচএসএর মাধুরী কানিতকার, এছাড়াও রয়েছেন আইআইটি হায়দরাবাদের এম বিদ্যাসাগর।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক আগরওয়ালের এই গবেষণা ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আসা তথ্যের ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। অধ্যাপক বলছেন, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা হল এই স্রোতের আহ্বানের মূল কারণ। তাঁর মতে, পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ মানুষই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছে। তারতম্য ঘটছে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতারও। তাঁর মতে বর্তমানে দেশের যা পরিস্থিতি তাতে, সাত দিনের গড় ধরলে মুম্বই শহরে ওমিক্রন কেস ৩০ থেকে ৬০ হাজার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। দিল্লিতে পিক দেখা যাবে ৩৫ থেকে ৭০ হাজারে। হাসাপাতালের বেডের চাহিদার নিরিখে করোনার পিকের দিকে, দিল্লিতে চাহিদা হতে পারে ১২ হাজার, মুম্বইতে ১০ হাজার। উল্লেখ্য, গত ২১৪ দিনের নিরিখে ভারতে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ১০০ এর অঙ্ক ছুঁয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ওমিক্রনের ছড়িয়ে পড়া নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে।

ঘরে বাইরে খবর

Latest News

মান্ডিতে প্রচার শুরু কঙ্গনার, ‘সেবায় কোনও খামতি রাখব না’ দাবি বিজেপি প্রার্থীর লন্ডনে ‘হোপ গালা’র সঞ্চালনায় আলিয়া, যোগ দিলেন গুরিন্দর চাড্ডা এবং হর্ষদীপ কৌররা বিয়ের চর্চার মাঝে রোম্যান্সে মজে তাপসী, হাবুডুবু খাচ্ছেন প্রেমে! ফাঁস সিক্রেট সবুজে সবুজ, টলটলে পুকুর,ছবির মতো হবে কলকাতা,বেসরকারি সংস্থাকে বড় অনুরোধ পুরসভার বিয়ের পর প্রথম জন্মদিন, তবু অনুপম বলছেন নতুন বউ-এর সঙ্গে বিশেষ পরিকল্পনা নেই…! AIFF-এর অ্যাডমিন বিভাগের মহিলা কর্মীকে হেনস্থার অভিযোগ পুরুষ সহকর্মীর বিরুদ্ধে সরকারি শিক্ষকদের কপালে নাচছে শনি, কাটবে বেতন, দফতরের পদক্ষেপ সমর্থন মন্ত্রীর ‘‌একুশ হাজার মদের দোকান বেড়েছে, এই মুখ্যমন্ত্রী মদশ্রী’‌, বেলাগাম শুভেন্দু পদবী নিয়ে বিতর্কের মাঝেই ত্রিপুরায় মনোনয়ন জমা দিলেন বিজেপি প্রার্থী কলকাতায় নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা, ৭০ হাজার ছুঁইছুঁই হলুদ ধাতুর দাম

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.