শেষ একদিনে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার পার করেছে। সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের দৈনিক সংখ্যা সেখানে ১৯ হাজারের সামান্য বেশি। এই পরিসংখ্যানকে সঙ্গে নিয়ে ওমিক্রনের নয়া স্রোতের মধ্যে রয়েছে ভারত। এমনই দাবি বহু বিশেষজ্ঞের। করোনার বাকি ভ্যারিয়েন্টের থেকে এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট কয়েকগুন বেশি সংক্রামক ক্ষমতা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে ওমিক্রনকে কেন্দ্র করে বহু ধরনের প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। দেখে নেওয়া যাক, শিশু, গর্ভবতী ও বয়স্কদের শরীরে ওমিক্রনের প্রভাব নিয়ে দিল্লির চিকিৎসকরা সতর্কতার বার্তা দিচ্ছেন।
কোভিডের ভয়াবহ দংশনের মাঝে দিল্লির বহু চিকিৎসকই গর্ভবতী মহিলা, শিশু ও কোমর্বিডিটি সম্পন্ন বয়স্কদের বিষয়ে উদ্বিগ্ন। সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লোক নায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালের চিকিৎসক ডক্টর সুরেশ কুমার জানিয়েছেন, 'যেভাবে কোভিড কেস বেড়ে যাচ্ছে, তাতে শিশু,বয়স্ক, গর্ভবতী মহিলা এবং যাঁদের ক্যানসারের মতো কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে।' এছাড়াও সিওপিডি বা শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট রয়েছে এমন ব্যক্তিদের নিয়েও রয়েছে উদ্বেগ। চিকিৎসক বলছেন, যদিও গত কয়েকদিনে দিল্লির হাসপাতালে যে গর্ভবতী মহিলারা কোভিড সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন, সেই ২০ জনের মধ্যে কোনও ওমিক্রনের চিহ্ন নেই। তবে শীতের মধ্যে বেড়ে চলা কোভিডের সংক্রমণ রীতিমতো একটি উদ্বেগজনক ঘটনা। আর সেই নিরিখে দিল্লির হাসপাতালগুলিতে হু হু করে গত কয়েকদিনে বেড়েছে কোভিডের সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা। উল্লেখ্য, দিল্লিতে এই মুহূর্তে পজিটিভিটির হার ১১.৮৮ শতাংশ। আর এই হু হু করে বদ্ধির নেপথ্যে যে ওমিক্রন বড় একটি ফ্যাক্টর তা মেনে নিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এক্ষেত্রে চিকিৎসক সুরেশ কুমার দিল্লি বিমানবন্দরে ১৮৫ জন করোনা পজিটিভের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, ওই ১৮৫ জনের মধ্যে দ্রুত সুস্থ হয়েছেন ১৫০ জন। তবে যাঁদের কোমর্বিডিটি ছিল তাঁদের সেরে উঠতে সময় নিচ্ছে।
তবে ওমিক্রন নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন না হয়ে, সতর্কতা অবলম্বনের বার্তা দিয়ে চিকিৎসক সুরেশ কুমার বলছেন, এখনও পর্যন্ত তাঁর কাছে এমন কোনও ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী আসেননি, যাঁকে ভেন্টিলেটারে রাখতে হয়েছে। তবে বর্তমানে দিল্লিতে করোনার যা গ্রাফ তার থেকে সংক্রমণের রেখা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক। আর সেই জায়গা থেকে তাঁর দাবি, তাঁরা যাবতীয় পরিস্থিতির জন্য তৈরি।