সেনা দিবসে আজকের ভাষণে ভারতের সেনা প্রধান নরভানে সাফ জানিয়েছেন, কোনও মতেই দেশের সীমান্তের স্থিতাবস্থাকে এক তরফা কাউকে পাল্টাতে দেওয়া হবে না।
প্রতিবারের মতো এই বছরেও ১৫ জানুয়ারি পালিত হয় সেনা দিবস। শনিবার সেনা দিবসের প্যারাডের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কার্যত নাম না করে চিন ও পাকিস্তানের প্রতি ভারতের বার্তা আরও স্পষ্ট করে দিলেন দেশের সেনা প্রধান এমএম নরভানে। আজকের ভাষণে তিনি সাফ জানিয়েছেন, কোনও মতেই দেশের সীমান্তের স্থিতাবস্থাকে এক তরফা কাউকে পাল্টাতে দেওয়া হবে না।
সেনা দিবসের প্যারাডে অংশ নিয়ে, জেনারেল নরভানে বলেন,' আমাদের বার্তা স্পষ্ট।' এরপরই তিনি জানিয়ে দেন যে, কোনও মতেই কাউকে দেশের সীমান্তের স্থিতাবস্থাকে পাল্টাতে দিয়ে সাফল্য পেতে দেবে না ভারতীয় সেনা। পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সংঘাতের প্রেক্ষিতেশনিবার সেনা প্রধান জেনারেল নরভানে বলেন,' গত বছর ভারতের সেনার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং বছর ছিল। যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় সেনা প্রত্যাহার হয়েছে যা একটি গঠনমূলক পদক্ষেপ। চতুর্দশতম ভারত ও চিন সেনা স্তরীয় আলোচনা সদ্য সম্পন্ন হয়েছে যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।' উল্লেখ্য, ভারতের পশ্চিম প্রান্তের সীমান্ত প্রসঙ্গে এদিন পাকিস্তানের কথা উঠে আসে সেনা প্রধানের তরফে। তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত পাকিস্তান নিজের জঙ্গিদের ভারতে প্রবেশ করিয়ে চলেছে। এই ইস্যুতে তিনি বলেন, পাকিস্তান থেকে ভারতের অনুপ্রবেশের চেষ্টায় ৩০০ খেকে ৪০০ জন জঙ্গি অপেক্ষায় রয়েছে। ১৪৪ জন জঙ্গি বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছে। এছাড়াও সেনায় মহিলাদের প্রবেশ নিয়েও এদিন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন সেনা প্রধান নরভানে। তিনি বলেন, 'এবার থেকে ওঁরা (মহিলারা) উচ্চ পদে যোগ দিতে পারবেন, আর বড় দায়িত্ব কাঁধে নিতে পারবেন। এই বছর এনডিএর মহিলা ক্যাডেটরা যোগ দেবেন আর সেনা পাইলট হিসাবে যোগ দিতে পারবেন মহিলারা।'
In LOC, the situation is better than last year but Pakistan is still harbouring terrorists near the border. Nearly 300-400 terrorists are waiting to intrude in India. A total of 144 terrorists were killed in counter operations: Army Chief General Manoj Mukund Naravane pic.twitter.com/a44nOtHfeJ
এর আগে, এদিন সেনার তিন বিভাগের প্রধানরা সেনা দিবস উপলক্ষ্যে দিল্লিতে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। বায়ুসেনা প্রধান চিফ মার্শাল ভি আর চৌধুরী, নৌপ্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার ও সেনা প্রধান এমএম নরভানে উপস্থিত ছিলেন এদিন। উল্লেখ্য, প্রতি বছরেই ১৫ জানুয়ারি পালিত হয় জাতীয় সেনা দিবস। ১৯৪৯ সালে এই দিনেই ব্রিটিশ কম্যান্ডার-ইন-চিফ জেনারেল ফ্রান্সিস বুচারের হাত থেকে ক্ষমতা গ্রহণ করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে এম কারিয়াপ্পা। সেই দিনটিই সেনা দিবস নামে পরিচিতি পেয়েছে।