সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এস আবদুল নাজিরকে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল হিসাবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। আর দেশের শীর্ষ আদালাতের প্রাক্তন বিচারপতিকে এভাবে রাজ্যপাল হিসাবে নিয়োগের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মহুয়া তাঁর টুইটে ‘নির্লজ্জ’ শব্দটি ব্যবহার করে কেন্দ্র ও প্রাক্তন বিচারপতির প্রতি গিয়েছে ক্ষোভের তোপ।
ইতিমধ্যেই ১৩ রাজ্যে রাজ্যপাল বদল নিয়ে দেশ জুড়ে বিশাল চর্চার ঝড় বইছে। তারই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির পদ থেকে অবসরের কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁকে রাজ্যপালের পদে নিয়োগ করা হয়েছে। মহুয়া মৈত্র তাঁর টুইটে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আরও এক সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে রাজ্যপাল হিসাবে নিয়োগ করা হল তাংর অবসরের ২ মাসের মধ্যেই। সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার তোয়াক্কা করে না উপলব্ধির, তবে কত নির্লজ্জ আপনি মাইলর্ড, যে এটা গ্রহণ করলেন?’ উল্লেখ্য, দিনের সংখ্যার বিচারে দেখলে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নাজিরের অবসরের ৪০ দিনের মধ্যে তাঁরে অন্ধ্রপ্রদেশর রাজ্যপাল হিসাবে নিয়োগ করার ঘোষণা এসেছে কেন্দ্রের তরফে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে অযোধ্যার রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলা সুপ্রিম কোর্টের যে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে গিয়েছিল, সেই বিচারপতিদের মধ্যে অন্যতম বিচারপতি নাজির। এর আগে ২০১৬ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকার যে নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা। সেক্ষেত্রেও নরেন্দ্র মোদী সরকারের সিদ্ধান্তকে বহাল রাখার পক্ষে নজিরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সায় দিয়েছিল। এমনই দেশের একাধিক ঐতিহাসিক পর্বের সঙ্গে নাম যুক্ত রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের এই প্রাক্তন বিচারপতির। বিচারপতি নাজিরের রাজ্যপাল পদে নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে কংগ্রেসও। তৃণমূলের পাশাপাশি কংগ্রেসও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে এই ইস্যুতুতে। এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে কাঠগড়ায় রেখে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলির একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশের শেয়ার করা ওই ভিডিয়োয় অরুণ জেটলিকে বলতে শোনা গিয়েছে, অবসরপরবর্তী চাকরি কী হবে তা বিচারপতিদের অবসরপূর্ববর্তী বিচারের ওপর নির্ভর করে। এই প্রসঙ্গ তুলেই, কংগ্রেসের খোঁচার সুরে বিচারপতি নাজিরের রাজ্যপাল পদে নিয়োগকে ‘কৃতজ্ঞতা’র নিরিখে বলে বার্তা দিচ্ছে। অরুণ জেটলির বক্তব্যকে তুলে ধরে রমেশ টুইটে লেখেন, ‘এর অকাট্য প্রমাণ হল গত ৩ থেকে ৪ বছরের ঘটনা।’ কংগ্রেসের নেতা অভিষেক মনু সিংভির দাবি, ‘এই ঘটনা বিচারব্যবস্থার স্বাধীন কাজ কর্মের ক্ষেত্রে হুমকি।’