আজ সকালে দিল্লি পুলিশের তরফে চারজন সিআইডি আধিকারিককে আটকানো হয়েছে বলে দাবি কার হয়েছিল সিআইডির তরফে। এই নিয়ে একটি টুইটও করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির তরফে। তবে দিল্লি পুলিশ দাবি করে যে তারা কোনও আধিকারিক বা সিআইডি অফিসারকে আটকাননি। দিল্লি পুলিশের দাবি, বাংলার তদন্তকারীদের সঙ্গে ইনভেস্টিগেটিং অফিসার ছিলেন না। তাই তল্লাশি পরোয়ানা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, হাওড়ায় ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়কের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৪৯ লাখ টাকা। সেই মামলায় দিল্লিতে সিদ্ধার্থ মজুমদার নামক এক কংগ্রেস নেতার বাড়িতে অভিযান চালাতে যান রাজ্যের সিআইডি আধিকারিকরা। তবে সিআইডি টুইট করে দাবি করে, আদালতের তল্লাশি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও দিল্লি পুলিশ সিআইডিকে আটকেছে বলে জানা গিয়েছে। সিআইডির চার আধিকারিককে সাউথ ক্যাম্পাস পুলিশ স্টেশনে আটক করে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। আটক আধিকারিকদের মধ্যে রয়েছেন এক জন ইনস্পেক্টর, দু’জন এসআই এবং এক জন এএসআই আছেন। এই আবহে পশ্চিমবঙ্গের থেকে উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা দিল্লি যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: উল্টোডাঙা উড়ালপুলের একাধিক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে, আতঙ্কে মানুষজন
এর আগে গতকাল কলকাতায় লালবাজারে বিকানের বিল্ডিংয়ে এক ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগরওয়ালের দফতরে তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। দিনভর তল্লাশি চালিয়ে ওই দফতর থেকে পাওয়া গিয়েছে ৩ লক্ষ ৭১ হাজার ৭০০ টাকা, ২৫০টি রুপোর কয়েন ও বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কের পাশবই। এর আগে গত শনিবার হাওড়ার পাঁচলার রানিহাটি মোড়ে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেসি বিধায়কের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৪৯ লক্ষ টাকা। তিন বিধায়ককে পরে গ্রেফতার করে সিআইডি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন যে ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক কলকাতার এক হোটেলে ৫০ মিনিট ছিলেন। সেখানেই এই টাকার হাতবদল হয়েছে বলে অনুমান করছেন সিআইডি তদন্তকারীরা। মহেন্দ্র আগরওয়ালই সেই টাকা পাঠিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
সিআইডির দাবি তদন্তে উঠে এসেছে, গত মাসের শেষের দিকে ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলার জন্য তৎপর হন ২ কংগ্রেস বিধায়ক। গত ২০ জুন গুয়াহাটি গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে দেখা করেন ২ বিধায়ক রাজেশ কচ্ছপ, ইরফান আনসারি। এর পর রাঁচি ফিরে যান তাঁরা। গত শনিবার ফের গুয়াহাটি যান তাঁরা। সঙ্গে ছিলেন আরও ১ বিধায়ক। এক মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে ফের বৈঠক হয় হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে। বৈঠকে তারা জানান, একাধিক কংগ্রেসি ও জেএমএম বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। কিন্তু দল ভাঙাতে কিছু টাকার প্রয়োজন। তখন মধ্যস্থতাকারী জানান টাকা পাওয়া যাবে কলকাতায়। সেই মতো কলকাতায় আসেন এই তিন বিধায়ক।