বাবা প্রয়াত আব্দুল হামিদ ছিলেন অধ্যাপক। কাকাও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করতেন। অপর কাকা ছিলেন সচিব। সেই পরিবার থেকে উঠে আসা আবদুল্লাহ আল তাসনিম ওরফে নাহিদ ছাত্রাবস্থাতেই জড়িয়ে গিয়েছিলেন জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে। বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের(জেএমবি) সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। মাদ্রাসা থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে টাঙ্গাইলের কলেজে ইংরেজি অনার্সে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মাদ্রাসাতে পড়ার সময়ই তিনি জড়িয়ে পড়েছিলেন জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে। জেএমবির প্রতিষ্ঠাতা যখন মাদ্রাসায় এসে জানতে চেয়েছিল কারা জিহাদের শরিক হতে চায়। তখন হাত তুলেছিল নাহিদও।
এরপর ২০০৫ সালের ১৭ই আগস্ট বাংলাদেশের ৬৩টি জায়গায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। সেই থেকে জেলেই রয়েছেন তিনি। তবে সেই নাহিদই এখন স্বীকার করছেন, ‘হিংসা দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা যায় না।’ সংবাদ মাধ্যমের কাছে নাহিদ জানিয়েছেন, আতঙ্কবাদ অপ্রয়োজনীয়। অল্প বয়সে, ভুল পথে পরিচালিত হয়ে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছিল সে। যদি জেলের বাইরে আসার সুযোগ পায় সেক্ষেত্রে নিজেকে সংশোধন করতে চায় নাহিদ। তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি যখন সংগঠনে যোগ দিয়েছিল তখন আব্দুর রহমান জানিয়েছিলেন তৎকালীন সরকার সবরকম সহায়তা করছে। সরকারের সহযোগিতা নিয়ে রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে তারা উঠে আসবে।তাকে ছাত্র শাখার সংগঠন বৃদ্ধির দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিছু শারীরিক কলা কৌশলেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘ ১৫ বছর পর জেএমবি নেতার এই উপলব্ধি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।