নয় বছরের ওপর বয়সী প্রতি ১৫ জনের মধ্যে এক জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলেছে দ্বিতীয় সেরো সার্ভেতে, বলে জাানিয়েছে আইসিএমআর। দেশ যে আপাতত হার্ড ইম্যুনিটির থেকে অনেকটা দূরে, এদিনকার সমীক্ষা সেটাই ইঙ্গিত করে বলে জানিয়েছে বিজ্ঞানীরা।
আইসিএমআরের ডিজি বলরাম ভার্গব জানান অগস্ট ১৭ থেকে সেপ্টেম্বর ২২-এর মধ্যে ২৯০৮২ জন সমীক্ষা করা হয়, যাদের বয়স দশ বছর বা তার বেশি। এদের মধ্যে ৬.৬ শতাংশের শরীরে করোনার চিহ্ন মিলেছে। ১৮ বছর বয়সী ও তার উর্ধ্বের জনসংখ্যার মধ্যে ৭.১ শতাংশের শরীরে রয়েছে করোনার চিহ্ন।
ভার্গব জানান যে লকডাউন, নিয়ন্ত্রন ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে কোভিডের সংক্রমণ তেমন দ্রুত হারে ছড়ায়নি। কিন্তু এখনও অনেক মানুষের এই রোগ হতে পারে, সেটাই এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
শহুরে বস্তিতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১৫.৬ শতাংশ। শহরের অন্যত্র এই শতাংশটি ৮.২ শতাংশ ও গ্রামীন এলাকায় এটি ৪.৪ শতাংশ। প্রথম সেরো সার্ভ যে ৭০০ গ্রাম ও শহরে করা হয়েছে, সেখানেই এই দ্বিতীয় সমীক্ষা করা হয়েছে। ২১টি রাজ্যের ৭০ জেলায় হয়েছে সমীক্ষা। প্রথম সার্ভেতে প্রিভিলেন্স রেট ছিল ০.৭৩ শতাংশ।
দেশের কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান নীতি আয়োগের ভিকেপাল বলেন যে সামনে উৎসবের মরশুম। সবাইকে মাস্ক পরে উৎসব পালন করতে ও জনসমাগম এড়াতে পরামর্শ দেন তিনি। যেভাবে দিল্লি, কেরল ও পঞ্জাবে প্রবল ভাবে ফিরেছে কোভিড সেখানে কোনও ভাবেই হেলাফেলা করার সুযোগ নেই বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন শীতের সময় এমনিই নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জা হয় বেশি। তাই সবাইকে চেষ্টা করতে হবে সতর্ক থাকার ও কোভিড সংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলার।