উত্তর মায়ানমারের জেড খনিতে ধসের জেরে মৃত্যু হল কমপক্ষে একজনের। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫ জন। সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, ৭০ থেকে ১০০ জনের খোঁজ মিলছে না।
চিনা সংবাদসংস্থা শিনহুয়ার প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, উত্তর মায়ানমারের কাছিন রাজ্যের পাক্তান এলাকার জেড (অলঙ্কারে ব্যবহৃত পাথর) খনিতে ভোর চারটে নাগাদ (স্থানীয় সময়) ধস নামে। চাপা পড়ে যান প্রায় ১০০ জন। উদ্ধারকারী দলের এক সদস্যকে উদ্ধৃত করে অপর একটি সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, ২৫ জন আহতকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি দেহ। প্রায় ৭০ থেকে ১০০ জনের খোঁজ মিলছে না। তাঁদের খোঁজে প্রায় ২০০ জন উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। বোটে করে পার্শ্ববর্তী লেকেও খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে ওই সংবাদসংস্থা জানিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এমনিতে চিনা সীমান্তের কাছে কাছিন প্রদেশের জেড খনিতে প্রতি বছরই প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়। যে ব্যবসা অত্যন্ত লোভনীয়। প্রতিবেশী চিনে সেই মূল্যবান পাথর পাঠানোর জন্য কম টাকায় প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে লাগানো হয়। সেইসঙ্গে খননের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়। খনিগুলির পরিকাঠামো অত্যন্ত নিম্নমানের। তার জেরে হামেশাই দুর্ঘটনা ঘটে। গত বছর জুলাইতে প্রবল বৃষ্টির জেরে সময় জেড খনিতে ধস নেমে অসংখ্য শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। তারইমধ্যে স্থানীয় এক সমাজকর্মীকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত জেড খনিতে খননের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু সেই বিধিনিষেধ উড়িয়েই খনন চলতে থাকে। তার ফলে ভূপৃষ্ঠের ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটে।