প্রদীপ কুমার মৈত্র
এটা একটা বড় সমাজ। কোনও একজন বিশেষ ব্যক্তি, কোনও সংগঠন বা কোনও একজন নেতা পরিবর্তন আনতে পারবে না। রাষ্ট্রীয় স্বংয়সেবক সংঘের সুপ্রিমো মোহন ভাগবত একথা জানিয়েছেন। আরএসএস নেতা সুনীল কিতকারুর লেখা বার্তা ইশান্য ভারতচি শীর্ষক একটি বই উদ্বোধনের সময় মোহন ভাগবত জানিয়েছেন, ভারত তখনই স্বাধীন হয়েছিল যখন সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিলেন।
আরএসএস সুপ্রিমোর মতে, যখন বৃহত্তর অংশের মানুষ কোনও বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত হন তখনই পরিবর্তন আসে। হিন্দুদের জাগরণ ঘটানো এটা একেবারেই সময়ের ডাক। একটি সৎ ও সত্য়িকারের সমাজ তৈরির জন্য দেশাত্মবোধ, শৃঙ্খলা অত্যন্ত প্রয়োজন। হিন্দুদের শক্তিশালী হওয়া খুব দরকার। সকলকে নিয়ে সেই কাজই করে যাচ্ছে সঙ্ঘ।
তাঁর মতে সঙ্ঘ চায় আরও শক্তিশালী হোক হিন্দুরা। তাহলেই তাঁরা তাঁদের সমস্যা মেটাতে পারবে। তবে এটা কোনও বিশেষ নেতার পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি মনে করিয়ে দেন ২০২৫ সালে আরএসএস সংগঠনের শতবর্ষ হবে। সংগঠনগত হিসাবে আরএসএস সবসময় তার কাজের পর্যালোচনা করে। নতুন চিন্তাধারাকে স্বাগত জানানো, দেশের স্বার্থের উপযোগী করে আদর্শকে পরিচালনা করার যে কাজ, তার মাধ্যমে সংগঠন তার লক্ষ্য মাত্রায় পৌঁছতে পেরেছে।
তাঁর মতে, সমাজ একদিন বুঝবে দেশের স্বার্থে কাজ করে আরএসএস। যেদিন নাগরিকরা এটা বুঝবেন সেদিন আরএসএসের অগ্রগতি কেউ আটকাতে পারবেন না। তবে আরএসএসের এই পথ চলা এতটা সহজ ছিল না। বহু মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আত্ম উৎসর্গকারী স্বংয়সেবকদের জন্য আজ এটা সম্ভব হয়েছে।