করোনার মধ্যেই সারা দেশে প্রায় দশ লাখ চিকিৎসক শুক্রবার ধর্মঘট পালন করলেন। শুধু এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে কাজ হয়েছে ও সঙ্গীন রোগীদের চিকিৎসা হয়েছে এদিন। মূলত যেভাবে আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের অপারেশন করার অনুমতি দিচ্ছে কেন্দ্র, তার বিরুদ্ধেই এই কর্মবিরতি। এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনের প্রধান রাজন শর্মা বলেন যে সকাল থেকে রোগী দেখা ও সার্জারি বন্ধ ছিল। তবে কোভিড রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ হয়নি বলে তিনি জানান। সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে স্বাস্থ্যপেশার গুরুত্ব লঘু হয়ে গিয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। গত মাসেই ৩৯টি জেনারেল সার্জারি ও ১৯টি ইএনটি সার্জারির ক্ষেত্রে আয়ুষ চিকিৎসকদেরও অপারেশন করার অনুমতি দেওয়া হয়। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে প্রতিবাদ।
যারা আয়ুষ চিকিৎসায় স্নাতোকত্তর পাশ করেছেন, তাদেরই এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আয়ুষ মন্ত্রকের আওতাভুক্ত সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ান মেডিসিন এই নির্দেশ দেয়। তারা Indian Medicine Central Council (Post Graduate Ayurveda Education) Regulations, 2016- এ সংশোধনী এনেছে।
বিতর্কের পর আয়ুষ সচিব জানিয়েছেন যে এটা কোনও নয়া সিদ্ধান্ত নয়। যেটার জন্য আগেই অনুমতি দেওয়া ছিল, সেটাই আনুষ্ঠানিক ভাবে জানান হয়েছে।
এই ধর্মঘটের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে হরিয়ানা, পঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, অসম, কেরালা ও তামিলনাড়ুতে। চিকিৎসকদের দাবি যে মিক্সোপ্যাথি চালু করতে চায় কেন্দ্র, যেটা মানা হবে না।
অনেক জায়গায় এদিন আয়ুর্দেব চিকিৎসকরা আট ঘণ্টার জায়গায় বারো ঘণ্টা কাজ করেন ও সার্জারি করেন সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানোর জন্য। রাজস্থানের বিশ্ব আয়ুর্দেব পরিষদের সচিব নিত্যানন্দ জানিয়েছেন যে ৬ হাজার আয়ুষ চিকিৎসক এদিন ওভারটাইম করেছেন। তাঁর দাবি অ্যালোপ্যাথি তো পঞ্চাশ বছর এসেছে ভারতে। আয়ুর্বেদ অতীত কাল থেকে আছে ও যার একটি অন্যতম অংশ ছিল সার্জারি।