বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Stray Dog Kills Infant in Hospital: সরকারি হাসপাতালে মায়ের পাশে ঘুমিয়ে থাকা একমাসের শিশুকে ছিঁড়ে মারল কুকুর!

Stray Dog Kills Infant in Hospital: সরকারি হাসপাতালে মায়ের পাশে ঘুমিয়ে থাকা একমাসের শিশুকে ছিঁড়ে মারল কুকুর!

সরকারি হাসপাতালে মায়ের পাশে ঘুমিয়ে থাকা একমাসের শিশুকে ছিঁড়ে মারল কুকুর

পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে যে, সোমবার রাতে টিবি ওয়ার্ডে ঢুকে গিয়েছিল একটি পথ কুকুর। এরপর কুকুরটি মুখে একটি ছোট্ট শিশুকে নিয়ে বেরিয়ে আসে ওয়ার্ড থেকে।

ফের পথ কুকুরের হামলার শিকার শিশু। কয়েকদিন আগেই হায়দরাবাদে তিনটি পথ কুকুরের হামলায় প্রাণ হারিয়েছিল চার বছর বয়সি এক শিশু। এবার রাজস্থানে এক সরকারি হাসপাতালের বেডে মায়ের পাশে ঘুমিয়ে থাকা শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়ে নেরে ফেলল পথ কুকুর। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের সিরোহি জেলায়। মৃত শিশুটির দেহ হাসপাতালের ওয়ার্ডের বাইরে থেকে উদ্ধার হয়েছে। (আরও পড়ুন: চিন সীমান্ত ঘেঁষে তৈরি হবে দেশের সর্ববৃহৎ বাঁধ, অনুমোদন দিল কেন্দ্র, জানুন বিশদ)

পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে যে, সোমবার রাতে টিবি ওয়ার্ডে ঢুকে গিয়েছিল একটি পথ কুকুর। এরপর কুকুরটি মুখে একটি ছোট্ট শিশুকে নিয়ে বেরিয়ে আসে ওয়ার্ড থেকে। সিরোহি কোতোয়ালির এসএইচও সীতারাম জানান, শিশুটির বাবা মহেন্দ্র মীনাকে সিলিকোসিসের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। শিশুটির মা রেখা তিন সন্তানসহ রোগীর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেই থাকছিলেন। রাতে তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সেই সময়ই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: BJP শাসিত রাজ্যে ৩০,০০০ মানুষ শেয়ার করেছে শিশুদের পর্ন! চাঞ্চল্যকর তথ্য রিপোর্টে

এদিকে পুলিশ কর্তা জানান, ঘটনার সময় হাসপাতালের কর্মচারীরাও ওই ওয়ার্ডে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি বলেন, 'শিশুর দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। একটি মেডিকেল বোর্ড এই ময়নাতদন্ত করেছে। আরও তদন্তের পরে এই বিষয়ে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হবে।' হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে এরই মাঝে এদিকে মৃত শিশুটির বাবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। মহেন্দ্র দাবি করেন, তাঁকে না জানিয়েই তাঁর স্ত্রীকে দিয়ে খালি কাগজে সই করিয়ে সন্তানের শেষকৃত্য সম্পন্ন করানো হয়েছে।

মৃত শিশুর বাবা বলেন, 'সোমবার হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলাম। কুকুরগুলো ওয়ার্ডের ভিতরে আসছিল এবং আমি তাদের তাড়িয়ে দিচ্ছিলাম। আমার স্ত্রী ভোররাত ২টাো নাগাদ ঘুম থেকে উঠে দেখেন কুকুরগুলো আমাদের সন্তানকে মারছে। আজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ খালি কাগজে আমার স্ত্রীতে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে আমাকে না জানিয়েই আমার ছেলের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছে। আমি আমার ছেলের মুখও দেখতে পারিনি শেষ বারের জন্য।'

বন্ধ করুন