নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে খতম পুলওয়ামা কাণ্ডে অন্যতম চক্রী জৈশ–ই–মহম্মদ জঙ্গি শামিম আহমেদ সফি। গতবার নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে জৈশ জঙ্গি পালিয়ে বাঁচতে পারলেও এবারে আর তা হল না। এই ঘটনা নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে বড়সড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।
জম্মু কাশ্মীরের অবন্তীপোরার ত্রাল এলাকায় তিলওয়ানি মহল্লায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে জঙ্গির প্রচণ্ড গুলির লড়াই হয়। দুই পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াইয়ে সফিকে খতম করে নিরাপত্তারক্ষীরা। ২ দিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নির্দেশ দিয়েছিলেন, কাশ্মীরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যেন অত্যাচার বন্ধ হয়। এই কারণে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করার বার্তা দেন তিনি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নির্দেশ মতোই পরিকল্পনামাফিক এই অভিযান চালায় নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই অভিযানে সফিকে খতম করে বড়সড় সাফল্য পেল তাঁরা। ঘটনাস্থল থেকে নিরাপত্তারক্ষীরা একটা একে ৫৬ রাইফেল, প্রচুর পরিমানে অস্ত্রশস্ত্র ও ২টি হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করেছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বাড়ি ছেড়ে জৈশ–ই–মহম্মদ নামে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগ দেন সফি। পুলওয়ামা হামলার পিছনে সফির পরিকল্পনাও কাজ করেছিল।
কিছুদিন আগে অবন্তীপোরায় আরেকটি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান হয়েছিল। সেই অভিযান পুলওয়ামা হামলায় আরও দুই ষড়যন্ত্রকারী জঙ্গি মহম্মদ ইসমাইল আলভি ওরফে লম্বু ও সমীর আহমেদ ডার নামে দুজনকে খতম করা হয়। লম্বু আসলে জৈশ জঙ্গি প্রধান মাসুদ আজহারের ভাগ্নে। আইইডি বিশেষজ্ঞ লম্বুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সফির। বিয়ের পর নিজেই ব্যবসা করত সফি। কিন্তু এরপরই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ক্রমেই জড়িয়ে পড়তে শুরু করে সে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ার আগে পর্যন্ত ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কনট্রাকটার হিসাবে কাজ করত সাতোরার আরিপাল গ্রামের এই ছেলেটি।