যৌন সঙ্গমের পরে গোপনাঙ্গ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল তরুণীর। তাসত্ত্বেও তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে ইন্টারনেটেই রক্তক্ষরণ বন্ধের উপায় খুঁজতে থাকেন প্রেমিক। দীর্ঘক্ষণ ধরে সমাধান খোঁজার পর শেষমেষ প্রেমিকাকে হাসপাতালে নিয়ে যান যুবক। তবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা তরুণীকে মৃত ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমনই ঘটনা ঘটেছে গুজরাটের নভসারি জেলার একটি হোটেলে। এই ঘটনায় যুবকের বিরুদ্ধে হত্যার মামলার রুজু করার পাশাপাশি তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কলকাতার যুবতীকে বর্ধমানে লাগাতার ধর্ষণ করার অভিযোগ, যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ
জানা গিয়েছে, ওই তরুণী গুজরাটের একটি নার্সিং কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিন বছর আগে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়েছিল। এরপরেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু, তারা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে একে ওপরের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। প্রায় সাত মাস আগে সোশ্যাল মিডিয়া মারফত ফের তারা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পুনরায় তাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রায় সাত মাস সম্পর্কে থাকার পর তারা গত ২৩ সেপ্টেম্বর ব্যক্তিগত সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নেয় এবং ওই হোটেলে ওঠে। জানা গিয়েছে, মেয়েটির ঋতুস্রাব চলছিল। তা জানার পরেও অভিযুক্ত তার সঙ্গে যৌন মিলন করে। তারফলে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয় তরুণীর। তখন যুবক রক্তক্ষরণ বন্ধের উপায় ইন্টারনেটে খুঁজতে থাকে। এদিকে, গোপনাঙ্গ থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়ে যাওয়ায় ক্রমে অসুস্থ হয়ে পড়েন তরুণী।
তদন্তকারীরা জানান, তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া বা চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাওয়ার পরিবর্তে অভিযুক্ত তার ফোনে ইন্টারনেট সার্ফ করতেই ব্যস্ত থাকে। সঙ্গমের সময় রক্তপাত বন্ধ করার জন্য কী করতে হবে সেই উপায় খুঁজতে থাকে। পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তিকে হত্যা সহ বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
নভসারির এসপি সুশীল আগরওয়াল বলেন, ফরেন্সিক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে তিনি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মারা গিয়েছেন। ১০৮ নম্বরে ফোন করে চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাওয়ার পরিবর্তে, তিনি তার বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাদের জন্য অপেক্ষা করার পরে তরুণীকে একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, তরুণী গোপনাঙ্গে গুরুতর আঘাতের কারণে মারা গিয়েছেন। হোটেল থেকে বের হওয়ার আগে যুবক প্রমাণ নষ্ট করার জন্য রক্তের দাগ পরিষ্কার করেছিলেন। অভিযুক্তকে স্থানীয় আদালতে তোলা হলে তাকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।