কৃষকদের জন্য, মধ্যবিত্ত গৃহস্থের জন্য বড় সুখবর। পেঁয়াজ রপ্তানিতে রপ্তানি শুল্ক কমাল কেন্দ্রীয় সরকার। তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজের রপ্তানি শুল্ক ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে, কৃষকদের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানি আরও লাভজনক হবে। মধ্যবিত্তের রান্নাঘরে পেঁঁয়াজ ব্যবহারে অনীহা কাটবে।
বর্তমানে বাজারে পিঁয়াজের দাম কত যাচ্ছে
গত ৪ মে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এবার পেঁয়াজের ওপর থেকে রপ্তানি শুল্ক অপসারণের পাশাপাশি কৃষকদের আয় বাড়াতে বিরাট সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম ৫৫০ মার্কিন ডলার রপ্তানি মূল্যও তুলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে, খুচরো পেঁয়াজের দাম তুলনামূলক বেশি থাকা সত্ত্বেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বর্তমান বাজারে পেঁয়াজের সর্বোচ্চ দাম কেজি প্রতি প্রায় ৫০ টাকা। সর্বনিম্ন দাম প্রতি কেজি প্রায় ২৬ টাকা। উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত ২.৬ লক্ষ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে ভারত। আর গত অর্থবছরে ১৬.০৭ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করা হয়েছিল। কৃষকদের আয় বাড়াতে এটিকে সরকারের সঠিক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করছেন বিশেষজ্ঞরা।
একমত মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীও
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে টুইট করে লিখেছেন, 'মহারাষ্ট্রের সমস্ত পেঁয়াজ চাষীদের তরফে, আমি পেঁয়াজ রপ্তানির ন্যূনতম শুল্ক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানাই। পেঁয়াজের উপর থেকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা ইতিমধ্যেই সরানো হয়েছে। এটি কৃষকদের বড় স্বস্তি দেবে। পেঁয়াজের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে। কৃষকদের আয়ও বাড়াবে।
আরও পড়ুন: (‘জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে না ফিরলে কী করব?’ সিব্বলের সওয়ালের জবাব প্রধান বিচারপতির)
সূর্যমুখী ও সয়াবিন তেলের উপর বেশি করে শুল্ক চেপেছে
ক্রুড বা অপরিশোধিত পাম, সয়াবিন এবং সূর্যমুখী তেলে বেসিক শুল্ক শূন্য থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। রিফাইন বা পরিশোধিত পাম, সয়াবিন এবং সূর্যমুখী তেলের উপর শুল্ক ১২.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩২.৫ শতাংশ করা হয়েছে।