পেঁয়াজের দামে সারা দেশের নানা শহরের নাগরিকদের এখন চোখের জলে–নাকের জলে অবস্থা। প্রত্যেকটি বাজারে এখন একটাই আলোচনা—পেঁয়াজের যা দাম বেড়েছে কেমন করে বাজার করবো? যে পেঁয়াজের দাম কদিন আগেও ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো সেই পেঁয়াজই আজ ৭০–৮০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এই পেঁয়াজের দাম নিয়ে এখন ভাল প্রভাব পড়েছে নানা শহরের বাজারগুলিতে।
এদিকে বাজারে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে গৃহস্থদের নাভিশ্বাস উঠেছে। পকেটে ভালরকম চাপ পড়তে শুরু করেছে মধ্যবিত্তের। সেখানে নয়াদিল্লির এক বিক্রেতা সংবাদসংস্থা এএনআই–কে বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা কেজি হয়েছে। আমরা মান্ডি থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আসি। সেখানে যে দাম আমাদের দিতে হয় তার প্রভাব পড়ে বিক্রির দামে। এখানে কমানোর কোনও বিষয় নেই। কারণ পেঁয়াজের দাম বাড়লেও মানুষ তা সেই দামেই কিনছে। এটা রান্না করার ক্ষেত্রে এবং স্বাদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: বিয়ের আইনে সংশোধন আনছে ইরাক, বাল্যবিবাহ হবে না তো? উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
কিন্তু তা বলে কি মানুষের উপর চাপ পড়ছে না? বাজারে গেলেই তো আলোচনার বিষয় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি। সেক্ষেত্রে বিক্রেতা কেমন করে দাম বৃদ্ধিকে সমর্থন করছে? প্রশ্ন উঠছে। এই বিষয়ে এক ক্রেতা ফৈজার বক্তব্য, ‘পেঁয়াজের দাম যে পরিমাণ বেড়েছে তা কেনা বেশ কষ্টসাধ্য। কারণ একলাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ভাবা হয়েছিল, ধীরে ধীরে তা নেমে আসবে। সেখানে আমাকে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে ৭০ টাকা কেজি দরে। খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে এত দাম দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে হওয়ায় সংসারে প্রভাব পড়ছে। আমি সরকারের কাছে আবেদন করছি কমপক্ষে সবজির দাম কমানো হোক যা রোজকার খাওয়ার।’
এই আবহে এখন ৮ নভেম্বর থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। আর নয়াদিল্লি, মুম্বই ছাড়াও অন্যান্য শহরেও পেঁয়াজের দাম লাগামছাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে বলে খবর। সংবাদসংস্থা এএনআই–কে দু’জন ক্রেতা ড. খান এবং আকাশ বলেছেন, ‘পেঁয়াজ আর আদার দাম এখন দ্বিগুণ হয়েছে। তার ফলে সাংসারিক খরচ বেড়ে গিয়েছে। পাঁচ কেজি পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে ৩৬০ টাকা দিয়ে। এখন বাজারে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। তবে সেনসেক্স বাড়া ওঠার মতোই পেঁয়াজের দামও নেমে আসবে।’ বাজারের বিক্রেতা কিশোরের কথায়, ‘পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি হয়েছে মুদ্রাস্ফিতির জন্য। তাই ৬০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ৭৫ টাকায় পৌঁছেছে। কিন্তু মানুষ তো কিনছে!’