সুপ্রিম কোর্টে বড় স্বস্তি পেল অনলাইন গেমিং সংস্থাগুলি। করফাঁকি সংক্রান্ত মামলায় শুক্রবার আদালত এই সংস্থাগুলির ওপর জারি করা এক লাখ কোটি টাকার বেশি জিএসটির শোকজ নোটিশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের ফলে সাময়িক স্বস্তি পেয়েছে গেমিং কোম্পানিগুলি। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ডিজিজিআই- এর জারি করা সমস্ত শোকজ নোটিশ স্থগিত থাকবে। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে আপাতত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। আগামী ১৮ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই সময় পর্যন্ত নোটিশ সংক্রান্ত সব বিষয়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: অনলাইন গেমিংয়ের বিজ্ঞাপন করে বিতর্কে সচিন, আইনি নোটিশ পাঠাবেন বিধায়ক
সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে ডেল্টা কর্পোরেশন এবং নাজারা টেকের মতো গেমিং কোম্পানিগুলির শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জে ৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ই-গেমিং ফেডারেশনের (ইজিএফ) সিইও অনুরাগ সাক্সেনা সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন। সাক্সেনা বলেছেন, ‘এটি সরকার এবং গেমিং অপারেটর উভয়ের জন্যই একটি বড় জয়।’
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরে এক লাখ কোটি টাকার জিএসটি ফাঁকির জন্য অনলাইন গেমিং সংস্থাগুলিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছিল। সরকার জিএসটি আইন সংশোধন করার পর বিদেশি অনলাইন গেমিং কোম্পানিগুলির জন্য ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর থেকে ভারতে রেজিস্টার করা বাধ্যতামূলক করেছে।
২০২৩ সালের অগস্টে জিএসটি কাউন্সিল স্পষ্ট জানিয়েছিল যে অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মে মোট মূল্যের উপর ২৮ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হবে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গেমিং কোম্পানিগুল বিভিন্ন হাইকোর্টে আবেদন করেছিল। গত বছর, সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের আবেদন গ্রহণ করেছিল এবং ই-গেমিং সংস্থাগুলিতে ২৮ শতাংশ জিএসটি আরোপকে চ্যালেঞ্জ করে ৯টি হাইকোর্টে দায়ের করা আবেদনগুলির শুনানি শুরু করে।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জে কে পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দেন। ই-গেমিং ফেডারেশনের (ইজিএফ) সিইও অনুরাগ সাক্সেনা গেমিং অপারেটরদের জন্য এটি ছিল জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপ। তিনি ন্যায্য এবং প্রগতিশীল সমাধানের আশা করেছেন। জানা যায়, ডিজিজিআই গেমিং কোম্পানিগুলিকে ৭১ টি নোটিশ পাঠিয়েছিল। নোটিশগুলি জিএসটি আইনের ৭৪ ধারার অধীনে জারি করা হয়েছিল।