সবার জন্য ভ্যাকসিনের নিয়ম চালু করেছে সরকার। আরও যথার্থভাবে বলা ভালো আগের নিয়মের পাশাপাশি, ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী প্রায় সকলেই এই টিকা পাওয়ার যোগ্য় বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। কিন্তু সকলেই যদি দল বেঁধে একই দিনে ভ্যাকসিনে নিতে যান তবে তো একেবারে অষ্টমীর ভিড় হবে টিকা গ্রহণ কেন্দ্রে। আর এই ভিড় এড়াতে ও গোটা ব্যবস্থাকে আরও সুশৃঙ্খল করার জন্য এবার নতুন ব্য়বস্থা চালুর উদ্যোগ। পয়লা মে থেকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। আগামী ২৮শে এপ্রিল থেকে এই রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। Co-Win প্লাটফর্মে করা যাবে এই অনলাইন রেজিস্ট্রেশন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ভ্যাকসিন গ্রহণকেন্দ্রের ভিড়ের জেরে সংক্রমণের আশঙ্কাও বাড়ছিল। তবে বর্তমান নিয়মে সকাল থেকে দীর্ঘ লাইন দেওয়ার ভোগান্তি থেকে হয়তো এবার মুক্তি মিলতে পারে। তৃতীয় পর্যায়ের ভ্যাকসিন দেওয়ার ড্রাইভে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে উদ্যোগী হচ্ছে সরকার। আধিকারিকদের মতে, তৃতীয় পর্যায়ের ভ্যাকসিন ড্রাইভে প্রচুর মানুষকে শামিল করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এব্যাপারে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকলে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভিড় ও ভ্যাকসিন যোগানের মধ্যে একটা সামঞ্জস্য রাখা যাবে না। এর ফলে মারাত্মক বিশৃঙ্খলা হতে পারে। সেকারণেই এই বিশেষ ব্যবস্থা। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুসারে প্রায় ১৪ কোটির উপর ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে দেওয়া হয়েছে গত শনিবার পর্যন্ত। পাশাপাশি শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত ২৪.২২ লক্ষ ডোজ ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির কাছে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিকাঠামো আরও বৃদ্ধি করার অনুরোধ করেছে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়ার জন্যও রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের পরই টিকাগ্রহণ কেন্দ্রে যেতে পারবেন।পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালকেও এই অভিযানে শামিল করার ব্যাপারেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।