দুই সন্তানের নীতি মুসলিমদের দারিদ্রতা ও অশিক্ষা দূরীকরণের একমাত্র উপায়। মঙ্গলবার ফের আরও একবার এভাবেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পক্ষে সওয়াল করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁর মতে, সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে অশিক্ষা ও দারিদ্রতা দূর করতে হলে দুই সন্তান নীতি নিয়ে চলাই একমাত্র উপায়। এর আগে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেই মন্তব্য করেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘গত মাসে অল অসম মাইনরিটি স্টুডেন্স ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁরাও স্বীকার করেছে যে অসমে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। জুলাইতে মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গেও বৈঠক করব। আমার আশা, তাঁরাও রাজ্য সরকারের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নীতিকে সমর্থন করবে।’ এদিন অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুই সন্তান নীতি নিয়ে চলাই মুসলিমদের অশিক্ষা ও দারিদ্রতা দূরীকরণে একমাত্র উপায়। এই নীতিই মুসলিম সম্প্রদায়ের সার্বিক উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করবে। আশা করা যায়, মুসলিমরাও এক্ষেত্রে বিরোধিতা করবে না।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ যে অসমের কাছে একটা বড় সমস্যা সে কথা উল্লেখ করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, অসমে বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি ১.৬ শতাংশের মধ্যে থাকলেও মুসলিমদের মধ্যে গত দুই জনগণনায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২৯ শতাংশ, যেখানে হিন্দুদের মধ্যে এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১০ শতাংশ। মুসলিমদের মধ্যে দারিদ্রতা ও অশিক্ষা ক্রমশই বাড়ছে। তাই এবার সরকারের এবার এমন কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে, যাতে মুসলিমদের মধ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সদর্থক ভূমিকা নেওয়া যায়। এই প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানান, জুলাইয়ে রাজ্যের একাধিক মুসলিম সংগঠনের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। তাঁরাও যাতে এই বিষয়ে সরকারকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন, সেই বিষয়ে কথা বলবেন। বিষয়টিকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখা ঠিক নয় বলেই মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, মুসলিমদের মধ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হলে তা মা–বোন, গোটা সম্প্রদায়ের জন্যই ভালো।