ভাঁড়ারে নেই বেশি কোভ্যাক্সিন। তাই ১৮-৪৪ বয়সিদের ক্ষেত্রে আপাতত আর কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হবে না। শুধুমাত্র যাঁরা ইতিমধ্যে ভারত বায়োটেকের করোনাভাইরাস টিকার প্রথম ডোজ পেয়ে গিয়েছেন, তাঁদেরই কোভ্যাক্সিন দেওয়া হবে। রবিবার সব বেসরকারি হাসপাতালকে এমনই নির্দেশ দিল দিল্লি সরকার।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, জুন মাস বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৮-৪৪ বয়সিদের শুধুমাত্র কোভ্যাক্সিন দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, নতুনভাবে কাউকে কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ আপাতত দিল্লিতে কেউ প্রথম ডোজ নিতে গেলে তাঁকে কোভিশিল্ড দিতে হবে। যদিও কোভিশিল্ডের ভাঁড়ারও বেশি নেই বলে শাসকদলের তরফে দাবি করা হয়েছে।
রবিবারই আপ নেতা অতিশি দাবি করেছেন, গত দু'সপ্তাহ ধরে ১৮-৪৪ বয়সিদের টিকাকরণের জন্য যে পরিমাণ কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন প্রয়োজন, তা দিল্লির হাতে নেই। ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে টিকার ভাঁড়ার। সেজন্য কেন্দ্রের কাছে জরুরি ভিত্তিতে টিকা পাঠানোর আর্জি জানানো হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে যে আগামী ১০ জুন ১৮-৪৪ বয়সিদের জন্য টিকা পাঠানো হবে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে দ্বিতীয় ডোজের জন্য দিল্লি লাগোয়া বিভিন্ন শহরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন অতিশি।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, 'এটা অত্যন্ত গুরুতর বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কারণ ১৮-৪৪ বয়সিদের অনেকেরই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় এগিয়ে আসছে। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে শুনতে পাচ্ছি যে দিল্লিতে টিকা না থাকায় মানুষজন ১০০-২০০ কিলোমিটার দরে মীরাট, বুন্দলশহরে টিকা নিতে যাচ্ছেন।'