দিল্লির তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলির হাতে মাত্র একদিনের কয়লা পড়ে আছে। এখনই পরিস্থিতির সামাল দিতে না পারলে দু'দিন পরই আধাঁরে ডুবে যাবে রাজধানী। এমনই দাবি করলেন দিল্লির বিদ্যুৎমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, যদি সত্যি পরিস্থিতির সামাল না দেওয়া যায়, তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠবে। দুর্গাপুজোর শুরুতেই অন্ধকারে ডুবতে পারে পুরো দিল্লি।
সত্যেন্দ্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই বলেছে, ‘দেশজুড়ে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে কয়লার জোগানের আকাল পড়েছে। দিল্লি যেসব তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি থেকে বিদ্যুৎ পায়, সেখানে মাত্র একদিনের কয়লা মজুত আছে। আর কোনও কয়লা নেই।’ তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্র পরিচালিত তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলির উপর নির্ভর করে দিল্লি। যেগুলি চাহিদার ভিত্তিতে দিল্লিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। দিল্লির বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, ‘যদি আমরা কেন্দ্রের থেকে বিদ্যুতের জোগান না পাই, দু'দিন পরেই পুরো দিল্লি ব্ল্যাকআউট হয়ে যাবে (আঁধারে ডুবে যাবে দিল্লি)। ’
শনিবার দুপুরের দিকে টুইটারে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল লেখেন, ‘বিদ্যুৎ সংকটের মুখে পড়তে পারে দিল্লি। পরিস্থিতির উপর আমি ব্যক্তিগতভাবে নজর রাখছি। এই পরিস্থিতি যাতে এড়ানো যায়, সেজন্য যাবতীয় চেষ্টা করা হচ্ছে। তারইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছি। তাঁর হস্তক্ষেপের দাবি করেছি।’ সেই চিঠিতে কতটা কয়লা মজুত আছে, তারও একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন কেজরিওয়াল।
পরে বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, যে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলির উপর নির্ভর করে দিল্লির বিদ্যুৎ সরবরাহ, সেগুলি উৎপাদন ক্ষমতার ৫৫ শতাংশ বিদ্যুৎ তৈরি করছে। এখন সেগুলি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে দু'দিন পরেই পুরো দিল্লি ব্ল্যাকআউট হয়ে যেতে পারে। সত্যেন্দ্র বলেন, ‘পুরো কার্যক্ষমতায় উৎপাদন না হওয়া সত্ত্বেও কয়লার আকাল পড়েছে। বিষয়টিতে নজর দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে আর্জি জানাচ্ছি।’