২০১৯ সালের ৫ অগস্ট থেকে পাকিস্তানের তরফে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল কয়েক গুণ। তবে পরবর্তীতে ব্যাকচ্যানেল আলোচনার মাধ্যমে শান্তি স্থাপনের পক্ষে মত দেয় দুই দেশই। আর এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিনতাবাদী জঙ্গিদের তরফে ড্রোন হামলার ভ্রূকুটি দেখা দিলেও পাক সেনার তরফে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের সংখ্যা নেমে গিয়েছে বিশাল ভাবে। আর এই বিষয়ে এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে লোকসভায় কেন্দ্র জানায়, নতুন করে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানের তরফে মাত্র ৬ বার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের তরফে ৩৮০ বার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছিল। এবং ফেব্রুয়ারিতে এই সংখ্যাটা ছিল ২৭৮। এই আবহে পিছনের দরজা দিয়ে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে দুদেশই সন্ত্রাসকে শেষ করার বা যথাসম্ভব কমিয়ে আনার ব্যাপারে একমত হয়েছে। এটা পাকিস্তানের কাশ্মীর নীতিতেও বড়সড় পরিবর্তন, যাকে তারা সবসময়ই তাদের মূল ইস্যু হিসেবে দেখিয়ে এসেছে।
এর আগে সংঘর্ষ বিরতি মেনে চলার ব্যাপারে একমত হয়ে, ২০০৩ সালের নভেম্বরে ভারত ও পাকিস্তান একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। এদিকে এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকায় থাকা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বারংবার অভিযোগ উঠএছে কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দেওয়ার। এই আবহে এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে বেরিয়ে আসতে তাই ফের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করে পাকিস্তান। উল্লেখ্য, সীমান্তে সংঘর্ষ হলে তা জঙ্গিদের ঢোকা ও বেরনোর পথ করে দেয়, আর যদি সেখানে গুলি বিনিময় বন্ধ হয়, সেক্ষেত্রে অনুপ্রবেশকারীরা আর কোনও সুবিধা পাবে না। পাকিস্তানের ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে না পারার অন্যতম কারণ কাশ্মীরের সন্ত্রাসই। এদিকে নয়া চুক্তির ফলে ফের কাশ্মীরে উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারবে ভারত সরকার।