প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বানানো ওয়েবসাইটে পোস্ট করেছিলেন নাবালিকার যৌন ভিডিয়ো। রেহাই দিল না আইন। শিশু পর্নোগ্রাফি মামলায়, ফেডারেল আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন নিউইয়র্কের একজন ব্যক্তি।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ম্যাথু রিচার্ডসন। বয়স তাঁর ৩৬ বছর। ১৬ বছর বয়সী কিশোরীর যৌন ভিডিয়ো পোস্ট করার জন্য, ৫ থেকে ২০ বছর কারাগারে কাটাতে হতে পারে তাঁকে। এবং ১৯ ডিসেম্বর সাজা হলে ২৫০,০০০ মার্কিন ডলার জরিমানাও দিতে হতে পারে।
আরও পড়ুন: (Alleged GST scam: ‘কোটি-কোটি টাকার GST দুর্নীতি’, সাংবাদিককে গ্রেফতার গুজরাটে! FIR-এ নামই ছিল না)
তাঁর আইনজীবী এবং ওয়েস্টার্ন নিউইয়র্কের মার্কিন অ্যাটর্নি অফিস এখনও এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি। সাজা হওয়ার পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বলে জানা গিয়েছে। রিচার্ডসনের মামলাটি জুলাই মাসে রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে ওনলি ফ্যানসে শিশুর যৌন নির্যাতনের কন্টেন্ট পাওয়া গিয়েছে।
নিউইয়র্কের এক কিশোরীর সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পরে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ওহিওতে একটি হাইওয়ে রেস্ট স্টপে গ্রেফতার করা হয়েছিল রিচার্ডসনকে। তাঁরা দু'জন একটি মুদি দোকানে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে লিপ্ত হন। এর কিছুক্ষণ পরে, রিচার্ডসন নিজেই মেয়েটির সঙ্গে নিজের যৌন ভিডিয়ো করেন। মামলায় দায়ের করা আবেদনের নথি অনুসারে, ৯ নভেম্বর, ২০২২-এ, তিনি স্কাইলার রেভেনউড ছদ্মনামে নিজের ওনলি ফ্যানস অ্যাকাউন্টে শিশু যৌন নির্যাতনের এই ভিডিয়োই পোস্ট করেছিলেন।
ভিডিয়োটি পোস্ট হওয়ার পর, খুব স্বাভাবিকভাবেই মেয়েটির পরিবার হতাশ হয়ে পড়ে। পরিবারেরই এক সদস্যের দাবি, এই সময়টা তাঁদের জন্য রাতের দুঃস্বপ্নের মতো ছিল। মেয়েটির পরিচয় গোপন রাখার জন্য, পরিবার অভিযুক্তের নামটিও পর্যন্ত গোপন করে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: (Omar Abdullah on Article 370: 'এখন কেন্দ্রের কাছে ৩৭০ ধারা ফেরানোর দাবি করা বোকামো', সাফ কথা ওমর আবদুল্লার)
এরপর রয়টার্সের তদন্তে মার্কিন পুলিশ এবং আদালতের রেকর্ডে ৩০টি অভিযোগ শনাক্ত ধরা পড়েছে। জানা গিয়েছে যে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে শিশু যৌন নির্যাতনের কন্টেন্ট ওনলি ফ্যানস-এ প্রদর্শিত হয়েছিল। এই সাইটে শিশুদের ২০০ টিরও বেশি স্পষ্ট ভিডিয়ো এবং ছবিও পোস্ট করা হয়েছে, যার মধ্যে কিছু ভিডিয়োতে প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে কমবয়সীদের ওরাল সেক্স করতেও দেখা যায়।
রিচার্ডসনের ক্ষেত্রে ওনলি ফ্যানরা এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। দুর্ভাগ্যবশত অপ্রাপ্তবয়স্ক যৌন ভিডিয়ো পোস্ট করার পরেও তাঁর ওনলি ফ্যানস অ্যাকাউন্টটি দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে প্ল্যাটফর্মে উপলব্ধ ছিল। জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত, মেয়েটিকে দেখানো ভিডিয়ো সরানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
শিশু পর্নোগ্রাফি মামলায় এতকিছু খারাপ কাণ্ড ঘটে গিয়েছে, অথচ ওনলি ফ্যানস দাবি করে যে এই ওয়েবসাইটে কোনও বাচ্চাকে অনুমতি দেওয়া হয় না। এটি সমস্ত কন্টেন্ট পরীক্ষা করে দেখে। শিশুর যৌন নির্যাতনের কন্টেন্ট দ্রুত সরিয়েও দেয় এবং রিপোর্টও করে। সংস্থাটি আরও বলে যে নিয়ম না মানলে, বেপরোয়া অ্যাকাউন্টগুলিকে নিষ্ক্রিয়ও করা হতে পারে।