গতকালই লোকসভায় পেশ হয়েছে 'এক দেশ, এক নির্বাচন' সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী ২টি বিল। বিল পেশের ক্ষেত্রে গতকাল ডিভিশন বা ভোটাভুটির দাবি তুলেছিলেন বিরোধী সাংসদরা। এম কিছু যে হতে পারে, তা আগে থেকেই আন্দাজ করেছিল বিজেপি। এই আবহে বিজেপি গতকাল লোকসভায় সব সাংসদদের উপস্থিত থাকতে হুইপ জারি করেছিল। তবে দেখা যায়, বিজেপির ২০ জন সাংসদ গতকাল অনুপস্থিত ছিলেন লোকসভা থেকে। এবার অনুপস্থিত সেই ২০ জন সাংসদকে নোটিশ পাঠাতে পারে গেরুয়া শিবির। এমনই দাবি করা হচ্ছে রিপোর্টে। আর তা যদি হয়, তাহলে বিজেপির বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট সাংসদের হাতে কারণ দর্শানোর নোটিশ গিয়ে পৌঁছবে বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: 'এক দেশ, এক নির্বাচন' নিয়ে গঠন হবে যৌথ সংসদীয় কমিটি, ডেডলাইন কবে? কারা থাকবেন?)
উল্লেখ্য, গতকাল 'এক দেশ, এক নির্বাচন' সংক্রান্ত বিলগুলি পেশের সময় লোকসভায় অনুপস্থিত ২০ জন বিজেপি সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি, গিরিরাজ সিংরা। এর আগে তিনলাইনের হুইপ জারি কে সকল বিজেপি সাংসদকে বিল পেশের সময় লোকসভায় থাকতে বলা হয়েছেল। এই আবহে কেন হুইপ জারি সত্ত্বেও বিল পেশের সময় এই সাংসদরা লোকসভায় ছিলেন না, তার কারণ জানতে চেয়েই দলের তরফ থেকে তাঁদের নোটিশ ধরানো হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে এই সাংসদরা নিজেদের অনুপস্থিতির কথা আগে থেকেই দলকে জানিয়ে রেখেছিলেন কি না, তা এনও স্পষ্ট নয়। এর মধ্যেই নোটিশ জারি নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে।
প্রসঙ্গত, গতকাল আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল 'এক দেশ, এক নির্বাচন' সংক্রান্ত সংবিধান (একশত উনবিংশ সংশোধনী) বিল, ২০২৪ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধন) বিল, ২০২৪ পেশ করেন। এই বিল দু'টি সংসদে পেশ হতেই কংগ্রেস, তৃণমূল এবং সমাজবাদী পার্টির সাংসদরা বিরোধিতায় সরব হন। বিলটি পেশ করার ক্ষেত্রে বিরোধীরা ডিভিশনের (ভোটাভুটি) দাবি তোলেন। সেই মতো স্পিকার ভোটাভুটির দাবি মেনে নেন। দেখা যায়, বিল পেশের ক্ষেত্রে ভোট দেন ২৬৯ জন সাংসদ। অপরদিকে বিল পেশের বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৯৮টি। এই বিলগুলি পেশ করার পরে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল প্রস্তাব করেন, সেগুলি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো উচিত। পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে দাবি করেন, 'এক দেশ, এক নির্বাচন' সংক্রান্ত বিলগুলি নিয়ে যখন ক্যাবিনেটে অনুমোদনের জন্যে আলোচনা হয়, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এগুলিকে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন।