শপথ নিলেন চান্নি, তবুও সিধুর নেতৃত্ব নিয়ে বিতর্কের আগুন পঞ্জাব কংগ্রেসে
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 20 Sep 2021, 11:34 AM ISTপঞ্জাবে কঠিন উইকেটে ব্যাট করছে কংগ্রেস
পঞ্জাবে কঠিন উইকেটে ব্যাট করছে কংগ্রেস
অমরিন্দর সিংকে সরিয়ে দলিত মুখ্যমন্ত্রীকে পঞ্জাবের তখতে বসিয়ে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন গান্ধী পরিবার। মোটের ওপর এটাই সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতামত। কারণ সরাসরি দলিত মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চান্নির বিরোধিতা করবে না অমরিন্দর গোষ্ঠী। কিন্তু চান্নির নেপথ্যে লাটাই কি পঞ্জাব কংগ্রেস প্রধান নভজ্যোত সিধুর হাতে। নয়া মুখ্যমন্ত্রীর শপথের দিনই প্রকাশ্যে এসে গেল সেই প্রশ্ন, যা নিশ্চিত ভাবেই কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেলবে। এদিন সকাল ১১.২০তে শপথগ্রহণ করে ইতিহাসের খাতায় নাম লেখালেন চরণজিৎ চান্নি। তিনি হলেন পঞ্জাবের প্রথম দলিত মুখ্যমন্ত্রী। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে চাক্ষুষ করার জন্য উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী সহ অন্যান্যরা নেতারা। কিন্তু প্রথম দিনই প্রশ্ন উঠছে কতটা ক্ষমতা উপভোগ করতে পারবেন নতুম মুখ্যমন্ত্রী।
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা দলের প্রাক্তন পঞ্জাব শাখার প্রধান সুনীল জাখর টুইটারে বলেন যে হরিশ রাওয়াত কেন বলছেন যে সিধুর নেতৃত্বে ভোটে যাবে দল। তাহলে কী চান্নির কর্তৃত্বকে খাটো করা হচ্ছে না ও যেই কারণে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হচ্ছে, সেই বিষয়টি লঘু হয়ে যাচ্ছে না। টুইটারেই এই চোখা প্রশ্নটি পঞ্জাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াতের দিকে ছুঁড়ে দেন জাখর। প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিল সুনীল জাখরের নামও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চরণজিৎ চান্নিকে বেছে নেওয়া হয়। কিন্তু অনেকেরই অনুমান, আগামী বছরের শুরুতেই ভোট, তাই চান্নি নেহাতই স্টপগ্যাপ ব্যবস্থা। পরের ভোটে জিতলে সিধুই হবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বিষয়টি কিছুটা হলেও সাফ হয়ে যায় হরিশ রাওয়াতের কথায়,যেটা নিয়ে আপত্তি করলেন সুনীল জাখর।
অন্যদিকে পঞ্জাবে দুইজন উপ মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত করবে কংগ্রেস। একজন হল ব্রহ্ম মহিন্দ্র ও অন্যজন সুখজিন্দর রান্ধাওয়া। প্রসঙ্গত, প্রথমে সুখজিন্দরই মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছে বলে রটে গিয়েছিল। তবে তাঁকে উপ মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। প্রসঙ্গত দলিত মুখ্যমন্ত্রী ও একজন হিন্দু উপমুখ্যমন্ত্রী ও আরেকজন জাট শিখ উপমুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত করে জাতপাতের সমীকরণের ভারসাম্যকে বজায় রাখতে চায় কংগ্রেস। যেখানে আপ ও বসপা জোট বেঁধেছে, সেখানে ৩৫ শতাংশ দলিত ভোট নিজেদের কাছে রাখতে চায় তারা। কিন্তু যেভাবে অমরিন্দর সিং তেড়েফুঁড়ে উঠেছেন, তাতে কংগ্রেসের ক্ষমতা ধরে রাখা মোটেই মসৃন না হতে পারে। প্রকাশ্যে আরেক বড় নেতার বিবৃতিতে দলের সমস্যা বাড়ল বই কমল না।