মার্কিন মুলুকে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কর্মীর। মৃত তরুণের নাম সুচির বালাজি। উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৪ বছর ওপেনএআই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সুচির। তিনি ওপেনএআই সংস্থার বিরুদ্ধে হুইসেলব্লোয়ারের কাজ করেছিলেন। তিন মাস আগেই সুচির দাবি করেছিলেন, মার্কিন কপিরাইট নিয়ম ভেঙে চ্যাটজিপিটি তৈরি করেছিল ওপেনএআই। উল্লেখ্য, ২০২২ সাল থেকেই বহু সাংবাদিক, লেখক ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল যে তাঁদের কপিরাইট থাকা কনটেন্ট বেআইনি ভাবে ব্যবহার করে নিজেদের প্রোগ্রাম ডেভেলপ করেছে ওপেনএআই। (আরও পড়ুন: ভারতের থেকে 'মোস্ট ফেভারড নেশন'-এর তকমা ছিনিয়ে নিল সুইৎজারল্যান্ড! তবে কেন?)
আরও পড়ুন: 'ফার্স্ট কাম,ফার্স্ট সার্ভ' ভিত্তিতে বণ্টন হবে স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম? জবাব দিলেন সিন্ধিয়া
গত ২৩ অক্টোবর নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সুচির দাবি করেছিলেন, যে সব ব্যবসা বা ব্যবসায়ীদের তথ্য ব্যবহার করে চ্যাটজিপিটি-কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, সেই সব ব্যবসার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে ওপেনএআই। মার্কিন সংবাদপত্রকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই তরুণ বলেছিলেন, 'আমি যা বিশ্বাস করি, তা যদি অন্য কেউও বিশ্বাস করে থাকে, তাহলে তাঁরও কোম্পানি ছেড়ে দেওয়া উচিত। এটা দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীল ইন্টারনেট ইকোসিস্টেমের মডেল হতে পারে না।' (আরও পড়ুন: কানাডায় খুন ৩ ভারতীয় পড়ুয়া, সতর্কতা জারি দিল্লির, খলিস্তান ইস্যুতে 'নয়া বিতর্ক')
আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিতেও...', ভারতকে কি ভয় পাচ্ছে জামাতে ইসলামি?
উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে, সুচিরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল গত ২৬ নভেম্বর। স্যান ফ্রান্সিস্কোর বুকানান স্ট্রিটে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন সুচির। সেখানেই 'ওয়েলফেয়ার চেক'-এর জন্যে আবেদন এসেছিল। দুপুর ১টা নাগাদ সেখানে পৌঁছেছিলেন মেডিক্যাল পরীক্ষকরা। সেখানেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয় সুচিরের দেহ। যদিও সেই সময় মেডিক্যাল পরীক্ষকরা তাঁর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি। এদিকে প্রাথমিক ভাবে সুচিরের মৃত্যুকে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করছে পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য, প্রাথমিক তদন্তে কোনও ষড়যন্ত্রের প্রমাণ মেলেনি। জানা গিয়েছে, ২৬ বছর বয়সি সুচির ওপেনএআই সংস্থায় যোগ দেন ২০২০ সালের নভেম্বরে। ২০২৪ সালের অগস্ট পর্যন্ত সেখানে গবেষক হিসাবে কাজ করেছিলেন তিনি। চ্যাটজিপিটি নিয়ে দেড় বছরের বেশি সময় কাজ করেছিলেন সুচির। এই আবহে তিনি মুখ খোলার পরে কয়েক মাসের মধ্যেই মারা যাওয়ায় জল্পনা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে ইলন মাস্কও একটি পোস্ট করেছেন সুচিরের মৃত্যু নিয়ে। তাতে তিনি শুধু 'হুমম' লিখেছেন। উল্লেখ্য, ওপেনএআইয়ের প্রধান স্যাম অল্টম্যানের সঙ্গে মাস্কের বিরোধের কথা অনেকেরই জানা।