বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হওয়ার পরেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর দল আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। এবার শেখ হাসিনার তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী এবং আওয়ামী লিগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দীপু মনিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তিনি বিদেশমন্ত্রীও ছিলেন। তিনি আওয়ামী লিগের একজন বড় নেত্রী হিসেবেই পরিচিত। এর পাশাপাশি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুটি হত্যার মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্যদিকে, শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ এবং নিবন্ধন বন্ধ করতে চেয়ে একটি মামলাও দাখিল হয়েছে বাংলাদেশের আদালতে।
আরও পড়ুন: ‘ভারতকে বিব্রত করতে পারে’, হাসিনাকে দিল্লিকে বাউন্সার দেওয়ার চেষ্টা বাংলাদেশের
আওয়ামী লিগের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা নেত্রী দীপু মনি। তিনি হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভার শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। এর আগে তিনি সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী এবং বিদেশ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদপুরে একটি মামলা রুজু হয়েছিল। গত ১৫ অগস্ট বিএনপি'র জেলা সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় দীপু মনি এবং তার ভাই জে আর ওয়াদুদ টিপুর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। তার ভিত্তি দীপু মনিকে করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে শেখ হাসিনার প্রাক্তন বেসরকারি বিনিয়োগ এবং শিল্প উপদেষ্টা সলমন এফ রহমান এবং প্রাক্তন আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিতে শুরু করে বাংলাদেশ সরকার। তার আগে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুডু এবং প্রাক্তন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককেউ গ্রেফতার করা হয়। আর এবার গ্রেফতার করা হল দীপু মনিকে।
অন্যদিকে, কিছুদিন আগেই বিএনপির এক নেতা হাসিনার ছবি প্রকাশ করা হলেই সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যমের অফিসে ভাঙচুর চালানোর নিদান দিয়েছিলেন। সোমবার দুপুরে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের অফিসে অজ্ঞাত পরিচিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। প্রায় ১০০ জনের একটি দল হকি স্টিক, লাঠি নিয়ে ওই অফিসে হামলা চালায়। কম্পিউটার সহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও ভবনের কাচের দেওয়াল এবং দরজা ভেঙে দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, এই মিডিয়া গ্রুপের তিনটি ভবনে কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ডেইলি সান বাংলা, নিউজ ২৪ বাংলা, নিউজ ২৪ চ্যানেল, টি স্পোর্টস এবং ক্যাপিটাল এফএম রেডিওর অফিস রয়েছে।