করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এমপিল্যাড-এর অর্থ বন্ধ রাখার ঘোষণার পরে দ্বন্দ্ব দেখা দিল কংগ্রেসের অন্দরমহলে।
দুই বছরের জন্য সাংসদদের বরাদ্দ করা অর্থ স্থগিত রেখে তা কেন্দ্রীয় সম্মিলিত তহবিলে পাঠানোর ঘোষণা করা হলে তা স্বাগত জানান কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় কয়েক জন নেতা, যাঁদের মধ্যে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য সভার সাংসদ জয়রাম রমেশ অন্যতম।
টুইটারে তিনি জানান, ‘আমি বহু দিন ধরেই তর্ক করছি যে, উন্নয়ন খাতে সাংসদ ও বিধায়কদের তহবিলে বছরে যে প্রায় ৭,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়, তা রাজ্যের নির্বাচনে সংগঠনের জন্য ব্যয় করা হোক।’
এর পরেই পালটা টুইট করে রমেশকে একহাত নেন তাঁরই দলীয় সাংসদ মানিকরাম ঠাকুর। তিনি বলেন, ‘দুঃখের বিষয়, রাজ্য সভার সদস্যরা রাজনীতির বাস্তবতার থেকে সম্পূর্ণ ভাবে বিচ্যুত।’
হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি বলেন, এমপিল্যাড-এর বরাদ্দ অর্থ বন্ধ করার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।
আর এক বিরোধী নেতা জানান, এমপিল্যাড-এর বরাদ্দ অর্থ নিয়ে যে গণ্ডগোল হবে, তা আগেই জানতেন সাংসদরা।
দলের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা মন্তব্য করেছেন, ‘দয়া করে মনে রাখবেন, এমপিল্যাডের অর্থ উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করা হয়। তা স্থগিত রাখলে নির্বাচনী কেন্দ্রের উন্নয়নে ভাটা পড়বে যার কারণে সাংসদের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। ’
তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর টুইট করেন, ‘এমপিল্যাড-এর অর্থই নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য সাংসদের একমাত্র প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ। সাংসদ তহবিলের অর্থ ব্যয়ের সীমারেখা টেনে দিলেও চলত। আমি ওই অর্থের বিনিময়ে তিরুবনন্তপুরমের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য টেস্টকিট ও পিপিই কিনেছি।’
সাংসদ তহবিলের অর্থ স্থগিত রাখার তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও। এ দিন তিনি বলেন, ‘এমপি ল্যাড-এর টাকা কারও সঙ্গে আলোচনা না করে খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উন্নয়ন খাতে তা চালু করা হয়েছিল। এটা মোদী সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণের পরিচয়। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’