তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে সোনা পাচারের ঘটনায় তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা তথা সংযুক্ত আমিরশাহির এক সংস্থার প্রাক্তন কর্মী স্বপ্না সুরেশ এবং আরও তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল এনআইএ। তা বিরুদ্ধে অবৈধ পদক্ষেপ দমন আইনে (UAPA) এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
UAPA আইনে অভিযোগ নথিভুক্তিকরণের জেরে সুরেশের বিরুদ্ধে জামিন আযোগ্য অভিযোগ আনা হয়েছে। সোনা পাচার কাণ্ডে দায়ের করা এফআইআর-এ উল্লিখিত প্রথম অভিযুক্ত সরিত কুমার আপাতত কাস্টমস-এর হেফাজতে রয়েছে। দ্বিতীয় নাম স্বপ্না সুরেশের। তৃতীয় অভিযুক্ত আমিরশাহির পাচার চক্রের মাথা ফাজিল পারিদের সন্ধান মেলেনি এবং এফআইআর-এ চতুর্থ নাম সুরেশের বন্ধু সন্দীপ নায়ার।
মনে করা হচ্ছে, দিন দুয়েকের মধ্যেই আত্মসমর্পণ করবেন সন্দীপ ও সুরেশ। পারিদকে ফিরে পাওয়ার জন্য আমিরশাহি প্রশাসনের কাছে এনআইএ আবেদন জানাতে পারে। সংস্থার দাবি, আন্তর্জাতিক পাচার চক্রে অভিযুক্ত চার জন ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িত। এই সূত্রে প্রাপ্ত অর্থের মোটা পরিমাণ সন্ত্রাসমূলক কাজে ব্যয় হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার জেরে দিল্লিতে আমিরশাহির দূতাবাসের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে তিরুবনন্তপুরমের কনস্যুলার অফিসে একটি বৈঠকের জন্য অনুরোধ পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
গত রবিবার আমিরশাহি থেকে আসা তিরুবনন্তপুরমে সে দেশের কনস্যুলার অফিসে পাঠানো বিমানবাহী পণ্য থেকে ৩০ কেজি সোনা উদ্ধার করে শুল্ক দফতর। ঘটনার পরেই গা-ঢাকা দেন কেরালা রাজ্য তথ্য প্রযুক্তি দফতরের অধীনে থাকা কেরালা রাজ্য তথ্য প্রযুক্তি পরিকাঠামো লিমিটেড সংস্থায় অপারেশনাল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত স্বপ্না সুরেশ। এই ঘটনার পরে সুরেশের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তথ্য প্রযুক্তি সচিব এম শিবশংকরকে বদলি করেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। বৃহস্পতিবার ঘটনার তদন্তভার এনআইএ-কে দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
এ দিকে এই ঘটনার জেরে বিজয়নের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযোগ এনে সরব হয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস ও বিজেপি। তাদের দাবি, মুখ্য সচিবের সঙ্গে সুরেশের ঘনিষ্ঠতা আগে থেকেই জানতেন বিজয়ন।
অন্য দিকে, স্বপ্না সুরেশের বি কম ডিগ্রিটি ভুয়ো বলে জানিয়েছে মহারাষ্ট্রের ডক্টর বাবাসাহেব অম্বেদকর টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি। কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও বি কম কোর্স পড়ানো হয় না। ওই ডিগ্রির সুবাদেই এয়ার ইন্ডিয়া-স্যাটস এূং কেরালা তথ্য প্রযুক্তি দফতরে এর আগে চাকরি পান সুরেশ। দুই দিন আগে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা ভাইও জানিয়েছেন, সুরেশ কোনও দিন দশম শ্রেণির পরীক্ষাতেও পাশ করেননি।