রাজ্যসভা থেকে ওযাকআউট বিরোধীদের। গতকাল বিরোধী সাংসদদের সাসপেনশন্ড করার প্রতিবাদে ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা। তবে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টি রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করেনি। এদিকে রাজ্যসভার বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খার্গের কক্ষে বিরোধীরা ভবিষ্যত কার্যক্রম নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসবেন। তবে সেই বৈঠকেও উপস্থিত থাকবেন না তৃণমূল সাংসদরা। উল্লেখ্য, নিলম্বিত সাংসদদের মধ্যে তৃণমূলের দুই সাংসদ – দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রীরাও ছিলেন। তবে তাঁরা ধরনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ নাদিমুল হক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘আমরা সংসদ সদস্যদের বরখাস্তের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। আমরা বিরোধী দলগুলির সাথে দাঁড়িয়ে আছি তবে আমরা আমাদের নিজস্ব পথ বেছে নেব।’
এদিন রাজ্যসভার বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খার্গে সাসপেনশনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় নিজের যুক্তি পেশ করে সেই সিদ্ধান্ত বদলানোর আবেদন জানান। তবে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান নিলম্বিত সদস্যদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করেন। বেঙ্কাইয়া নাইডু এই বিষয়ে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সংসদ সদস্যরা দুঃখ প্রকাশ করেননি। আমি বিরোধীদলীয় নেতার (কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খর্গে) আবেদন বিবেচনা করছি না। সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হবে না।’
এর কয়েক মিনিট আগেই মল্লিকার্জুন যুক্তি দিয়েছিলেন যে সাংসদদের (কংগ্রেসের ছয়জন) নিলম্বিত করার সরকারের পদক্ষেপ ‘নির্বাচিত’ এবং নিয়মের বিরুদ্ধে ছিল। মল্লিকার্জুন বলেন, ‘আমি আপনাকে ১২ বিরোধী সংসদ সদস্যের সাসপেনশন প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করছি। বেছে বেছে তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে।’
মল্লিকার্জুন সংসদে এদিন আরও বলেন, ‘প্রত্যেক সদস্যকে একটি পয়েন্ট অফ অর্ডার করার অনুমতি দেওয়া উচিত। বিধি বলছে চেয়ারম্যানকে প্রথমে সাংসদদের নাম নিতে হবে এবং তারপরে সাসপেনশনের আগে একটি প্রশ্ন করতে হবে। তারপর সাসপেনশনের জন্য একটি প্রস্তাবনা করতে হবে। এই প্রক্রিয়া ঘটনার দিনই হতে হবে। বর্তমান মামলায় কোনও সংসদ সদস্যের নাম প্রস্তাব করা হয়নি ঘটনার দিন।’