নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করলেন বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। অভিযোগ করলেন, ‘অগণতান্ত্রিক’ উপায়ে সংসদে সেই আইন পাশ করিয়ে কৃষকদের ‘অপমান’ করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
বুধবার বিরোধীদের হয়ে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা এবং ডিএমকে নেতা টিকেএস এলানগোভান রাষ্ট্রপতি ভবনে যান। করোনোভাইরাস পরিস্থিতির কারণে প্রতিনিধিদলে মাত্র পাঁচজন ছিলেন। রাষ্ট্রপতিকে জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘ভারতীয় সংবিধানের রক্ষকর্তা হিসেবে আপনাকে আমরা আর্জি যে একগুঁয়ে না হয়ে ভারতের অন্নদাতাদের দাবি মেনে নিক আপনার সরকার।’
স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়েছে, কৃষকদের সমর্থন জানিযেছেন দেশের ২০ টির বেশি রাজনৈতিক দল। কয়েকটি দল বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতায় আছে। বিরোধীরা জানিয়েছেন, গঠনমূলক আলোচনা না করে গণতন্ত্র-বিরোধী প্রক্রিয়ায় সংসদে নয়া কৃষি আইন পাস করা হয়েছে। যা ভারতের খাদ্য সুরক্ষাকে বিপন্ন করছে, ভারতীয় কৃষি এবং আমাদের কৃষকদের ধ্বংস করছে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য তুলে দেওয়ার ভিত্তি স্থাপন করেছে। শুধু তাই নয়, ভারতীয় কৃষিকে বহুজাতিক এবং দেশীয় বাণিজ্য সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার পথ প্রশস্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা।
সাক্ষাতের পর রাহুল বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছি এবং তিনটি কৃষি আইন নিয়ে আমাদের মত জানিয়েছি। আমরা সেগুলির প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। আমরা জানিয়েছে যে সেগুলি ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।’ রাহুল দাবি করেন, ‘যেভাবে সংসদে কৃষি আইন পাস করা হয়েছে, তা কৃষকদের প্রতি অপমানজনক। সেই কারণেই শীতের মধ্যেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। ওঁরা পিছু হটবেন না এবং আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাঁরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন।’
রাহুল দাবি করেন, নিজের ‘বন্ধু’-দের হাতে কৃষিক্ষেত্রকে তুলে দেওয়ার জন্য নয়া আইন নিয়ে এসেছেন মোদীরা। তবে রাহুলের বিশ্বাস, ‘কৃষকরা নির্ভীক এবং তাঁরা পিছিয়ে যাবেন না। তাঁরা সরকারের উপর বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন।’