বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Saugata Roy Notice: ‘‌কে এই উচ্চ–কর্তৃপক্ষ?’‌, সৌগতর নোটিশের অনুমোদন না মেলায় সরব সাংসদ

Saugata Roy Notice: ‘‌কে এই উচ্চ–কর্তৃপক্ষ?’‌, সৌগতর নোটিশের অনুমোদন না মেলায় সরব সাংসদ

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। (PTI)

ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় কেন্দ্রীয় সংস্থার অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে বিল পাশ হয়েছে। দেশের তামাম বিরোধী দলগুলি এখন কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে জোর সওয়াল করছে। সেখানে সৌগত রায়ের পাঠানো নোটিশ অনুমোদন না পাওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার এই ইস্যুতে চাপে আছে এটা প্রমাণিত বলে মনে করছে তৃণমূল।

‌সংসদে শুরু হয়েছে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। এখন বিরোধীদের মূল আলোচ্য বিষয় ‘‌কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার’‌। এই বিষয়টি নিয়ে একটি চিঠি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে দেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। সংসদে যাতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় তাই এই চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেটার অনুমোদন দেওয়া হল না। উচ্চ–কর্তৃপক্ষের অনুমোদন মেলেনি বলে খবর। সুতরাং তারপর থেকেই রাজধানীর রাজনীতির অলিন্দ সরগরম হয়ে উঠেছে।

এদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে একটি বৈঠক ডাকেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সংসদে কেন্দ্রীয় সরকারকে চেপে ধরার রণকৌশল ঠিক করতেই এই বৈঠক ডাকা হয়। যদিও এই বিরোধী মঞ্চে অনুপস্থিত ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ১৬টি রাজনৈতিক দলের সাংসদরা মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে সংসদ ভবন চত্বরে গান্ধীমূর্তির সামনে ধর্নায় বসে কংগ্রেস–সহ বিরোধী দলগুলি। সেখানে অংশ নেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু সেন এবং মহুয়া মৈত্র।

ঠিক কী লেখেন বর্ষীয়ান সাংসদ?‌ অন্যদিকে সাংসদ সৌগত রায়ের চিঠি অনুমোদন না পাওয়া নিয়ে চটেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সৌগত রায় চিঠিতে লেখেন, ‘‌আমি একটা নোটিশ দিয়েছিলাম গত ৯ মার্চ। সেই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী। আর সেই নোটিশটি ছিল ‘‌কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার’ নিয়ে। সেখানে আমি একটি ফোন পেলাম সংসদের টেবিল অফিস থেকে। তাঁরা আমাকে বললেন, আমার দেওয়া নোটিশ উচ্চ–কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পায়নি। আর আমি যদি চাই তাহলে বিকল্প নোটিশ দিতে পারি।’‌

ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় কেন্দ্রীয় সংস্থার অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে বিল পাশ হয়েছে। দেশের তামাম বিরোধী দলগুলি এখন কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে জোর সওয়াল করছে। আর তাঁরা চান এই বিষয়ে সংসদে আলোচনা হোক। সেখানে সৌগত রায়ের পাঠানো নোটিশ অনুমোদন না পাওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার এই ইস্যুতে চাপে আছে এটা প্রমাণিত বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই সৌগত রায়ের কথায়, ‘‌আমার সংসদীয় জীবনে এমন অভিজ্ঞতা প্রথম। ১৯৭৭ সাল থেকে আমি সাংসদ। এটা এক ধরনের সেন্সরশিপ। কে এই উচ্চ–কর্তৃপক্ষ?‌ আমি জানতে চাই।’‌

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন