আজকে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে তলব করেছে ইডি। এই আবহে আজকে সংসদে বিরোধী দলগুলির একটি বৈঠক ডেকেছিল কংগ্রেস। সেই বৈঠকে এই প্রথম যোগ দিয়েছে টিআরএস। তেলাঙ্গানায় কংগ্রেসকে ক্রমাগত আক্রমণ শানিয়েছে টিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও। তবে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এই প্রথম কংগ্রেসের পাশে এসে দাঁড়াল টিআরএস। এদিকে আজকের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিল তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি।
এদিকে বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে, বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করেছে যে মোদী সরকার বিভিন্ন দলের বিশিষ্ট নেতাদের লক্ষ্য করে তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার করছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ইডি, সিবিআই-এর মাধ্যমে রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে নিরলস প্রতিহিংসা চালাচ্ছে মোদী সরকার। এই প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনীতির নিন্দা জানায় বিরোধী দলগুলি। সিপিএম, টিআরএস, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরেপন্থী), আরজেডি, আরএসপি, ডিএমকে-র মতো দলগুলি একযোগে নিন্দা জানায় কেন্দ্রের।
যৌথ বিবৃতিতে বিরোধী দলগুলি বলে, ‘মোদী সরকার তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহারের মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং সমালোচকদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক প্রচার চালাচ্ছে। বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বিশিষ্ট নেতাদের ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করা হয়েছে এবং নজিরবিহীনভাবে হয়রানির শিকার হয়েছে। আমরা এর নিন্দা করি এবং মোদী সরকারের গণবিরোধী, কৃষক-বিরোধী, সংবিধান বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সম্মিলিত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার এবং সেই আন্দোলন আরও তীব্র করার সংকল্প করছি। আমাদের সমাজের সামাজিক কাঠামোকে ধ্বংস করছে এই সরকার।’ এদিকে এখানে যখন বিরোধী দলগুলি বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার চেষ্টা করছে, সেখানে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতাকে সর্বভারতীয় স্তরের নেত্রী হিসেবে তুলে ধরতে মরিয়া তৃণমূল। এই আবহে আজকে বিরোধী দলগুলির বৈঠকে অনুপস্থিত ছিল তৃণমূল। এমনিতেও দলের সব সাংসদরা ২১ জুলাইয়ের সভায় যোগ দিতে কলকাতায়।