ভোটের মরশুমে সম্প্রতি আগরতলা-কলকাতা রুটে বিমানের ভাড়া অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে অন্যান্য সময়ে বিমান ভাড়া থাকে প্রায় ৪ হাজার টাকা, সেই জায়গায় একলাফে এই রুটে বিমান ভাড়া বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রায় ৪ গুণেরও বেশি। এই অবস্থায় বিমানে কলকাতা যাতায়াত করতে গিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। তাই বিমান ভাড়া নিয়ন্ত্রণে বেসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার হস্তক্ষেপের আর্জি জানালেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। অবিলম্বে বিমান ভাড়া কমানোর আর্জি জানিয়ে তিনি মন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন।
আরও পড়ুন: সুখবর! জনপ্রিয় রুটে বিমানের ভাড়া কমছে, জানালেন খোদ কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী
পড়ুন: বিমান ভাড়ার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমার সময় হল অর্ধেক, টিকিটের দাম কি বাড়বে?
বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য বহু রোগী এবং পড়ুয়া কলকাতায় যাতায়াত করে থাকেন। পরিবহণের সুবিধার জন্য সেক্ষেত্রে অনেকেই বেছে নেন বিমানকে। কিন্তু, হঠাৎ বিমানের ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় তারা চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির যাত্রীরা এতে চরম সমস্যায় পড়েছেন।
জিতেন্দ্র চৌধুরীর অভিযোগ, বিমান সংস্থাগুলিতে সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। সেই কারণে বিমান ভাড়া অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। কারণ বহু নাগরিক কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দারাবাদ, দিল্লির মতো অনেক বড় শহরে যাতায়াত করেন।উল্লেখ্য, কলকাতা থেকে আগরতলার দূরত্ব হলো মাত্র ৩২৭ কিলোমিটার। কিন্তু, সেই তুলনায় ভাড়া অনেকটাই বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন জিতেন্দ্র।
পড়ুন: এজেন্ট দিয়ে বিমানের টিকিট কাটলে সরাসরি রিফান্ড মিলবে না যাত্রীদের, পাবেন এজেন্ট
এই চিঠির প্রতিক্রিয়ায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চ বিমান ভাড়া সম্পর্কে সচেতন। বিমান ভাড়া নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি রাজ্যের হাতে নেই। এয়ারলাইন অপারেটিং কোম্পানিগুলি এর আগে ভাড়া অনেকটাই কমিয়েছে। নির্দিষ্ট শুল্ক ব্যবস্থায় বিমানসংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রাজ্যের হাতে নেই। যদিও আমরা বিমান ভাড়া সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। তবে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আগেই আর্জি জানিয়েছিলাম ভাড়া যেন আকাশ ছোঁয়া না হয়। এটা যেন জনগণের নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়। কারণ ভাড়া নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি পুরোটাই কেন্দ্রের হাতে।’