আর্থিক দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত বিধায়ক বাদল চৌধুরীর গ্রেফতারের প্রতিবাদে ত্রিপুরা বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে ওয়াক আউট করলেন বিরোধীরা।
রাজ্যের প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী তথা বিধানসভায় উপ বিরোধী দলনেতা বাদল চৌধুরীকে ৬০০ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের প্রতিবাদে এ দিন রাজ্যপাল রমেশ বৈশের ভাষণের সময় বিরোধী বিধায়করা প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন।
এ দিন বর্ষীয়ান সিপিএম বিধায়ক তপন চক্রবর্তী বলেন, ‘বাদল চৌধুরীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। তাঁর গ্রেফতারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে আমরা আপনার ভাষণ শুনব না। তাঁর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত রাজনৈতিক আক্রমণ হানা হবে না, এই মর্মে প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিবাদ চলবে।’
তাঁদের দাবি গ্রাহ্য না করে রাজ্যপাল ভাষণ চালিয়ে গেলে ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ জানান বিরোধী বিধায়করা। তারপর তাঁরা অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করেন।
পরে সাংবাদিক বৈঠকে তপন চক্রবর্তী জানান, ‘বাদল চৌধুরীকে মিথ্য মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করার উদ্দেশেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। বাদলবাবু বিধানসভার প্রবীণতম নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে করা সমস্ত মামলা আমরা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। দুঃখের বিষয়, অধিবেশন বয়কটা করা ছাড়া আমাদের প্রতিবাদ জানানোর আর কোনও উপায় ছিল না।’
উল্লেখ্য, প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রীর পাশাপাশি ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যসচিব যশপাল সিংয়ের পূর্ত দফতরের অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার সুনীল ভৌমিকের বিরুদ্ধে গত ১৩ অক্টোবর রাজ্য সরকারের আওতাধীন প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতি, প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ, সাক্ষ্য-প্রমাণ লোপাট করার মতো একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ২১ অক্টোবর রাতে আগরতলার এক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগ থেকে গ্রেফতার করা হয় বাদল চৌধুরীকে। বর্তমানে তিনি বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। তিনি বিগত বাম সরকারের আমলে চার বার পূর্তমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
১৪ অক্টোবর গ্রেফতার হন সুনীল ভৌমিক। সম্প্রতি তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট। মামলায় তৃতীয় অভিযুক্ত যশপাল সিং এখনও পর্যন্ত ফেরার বলে জানিয়েছে পুলিশ।