সত্যিই নাকি ভুয়ো? বিকাশ দুবের পর তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সব বিরোধীদের একসুরে প্রশ্ন, অপরাধীর তো মৃত্যু হল। কিন্তু তাকে যে রাঘর-বোয়ালরা রক্ষা করত, তাদের কী হবে?
শুক্রবার সকালে এনকাউন্টারের খবর নিশ্চিত হওয়ার কিছুক্ষণ পরই টুইট করেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। সংক্ষিপ্ত টুইটে তিনি বলেন, ‘মৃতেরা কোনও গল্প বলে না।’ সরাসরি টুইটারে কারোর নাম না নিলেও তাঁর ইঙ্গিত কোনদিকে ছিল, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না।
এত অবশ্য রাখঢাক করে বলেননি সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। তাঁর অভিযোগ, বিকাশ মুখ খুললে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার পড়ে যেত। একট টুইটবার্তায় তিনি বলেন, 'আসলে গাড়ি ওলটায়নি। রহস্য উন্মোচিত হয়ে সরকারে উলটে যাওয়া থেকে বাঁচানো হয়েছে।' বিজেপি নেতাদের ছত্রছায়ায় বিকাশ পেয়েছে বলে প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছে সপা। তবে বৃহস্পতিবার বিকাশের মা আবার দাবি করেন, অখিলেশের দলই করত গ্যাংস্টার। সেই দাবি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছিল সপা।
এদিকে, মধ্যপ্রদেসের উজ্জয়িনী থেকে বিকাশের গ্রেফতারির ঘটনাকে 'সাজানো' বলে এসেছে। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পুলিশি এনকাউন্টারে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা বলেন, ‘অপরাধী তো শেষ হয়ে গেল। অপরাধ এবং তাকে ছত্রছায়া লোকেদের কী হবে?’
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, কানপুরে আসার পথে শুক্রবার ভোরের দিকে কনভয়ের একটি গাড়ি উলটে যায়। সেই সময় এক পুলিশকর্মীর বন্দুক ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করে বিকাশ। কাছের একটি মাঠে দৌড়ে যায় এবং তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু সে গুলি চালাতে থাকে। পালটা গুলি চালায় পুলিশ। আহত হয় বিকাশ। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তার মৃত্যু হয়। ছ'জন পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন।