রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পেশ করলেন অটল জমানার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং প্রাক্তন আইএএস অফিসার যশবন্ত সিনহা। আজকে তাঁর মনোনয়ন পেশের সময় উপস্থিত ছিলেন শরদ পাওয়ার, রাহুল গান্ধীরা। ছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি, ফারুখ আবদুল্লাহরাও। এর আগে শরদ পাওয়ার, ফারুক আবদুল্লাহ এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধীকে বিরোধীদের তরফে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করার কথা উঠলেও প্রার্থী হতে অস্বীকার করেন তাঁরা সকলেই। এই আবহে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি যশবন্ত সিনহার নাম ভেসে উঠেছিল সম্ভাব্যদের তালিকায়। সেই জল্পনা সত্যি করেই যশবন্তকে প্রার্থী করা হয় বিরোধীদের তরফে।
এর আগে যশবন্ত সিনহা সমর্থন চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাজনাথ সিংকে ফোন করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি লালকৃষ্ণ আডবাণীর কাছেও ফোন করেছিলেন। জানা গিয়েছে, মনোনয়ন পেশের পর আডবাণীর বাড়িতেও যেতে পারেন যশবন্ত সিনহা। এদিকে তেলাঙ্গানার ক্ষমতায় থাকা টিআরএস জানিয়ে দিয়েছে যে তারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যশবন্ত সিনহাকে সমর্থন করবে। যশবন্ত সিনহার মনোনয়ন পেশ করা প্রশঙ্গে তৃণমূল নেতা সৌগত রায় বলেন, ‘এটা দুই ব্যক্তির লড়াই নয়, আদর্শের লড়াই। এটা সাম্প্রদায়িকতা বনাম ধর্মনিরপেক্ষতার লড়াই। আমি মনে করি যশবন্ত সিনহাই সেরা প্রার্থী। তাঁকে সমর্থন করছে কংগ্রেস, ডিএমকে, আরজেডি, এনসিপি ইত্যাদি। এটি দেশের সেরা মূল্যবোধের রংধনু জোট।’
২৪ বছর ধরে আইএএস হিসেবে কাজ করেছেন যশবন্ত সিনহা। ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি সচিব পর্যায়ে বহু বছর নিযুক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সালে আইএএস অফিসার হিসাবে পদত্যাগ করেন। পা রাখেন রাজনীতিতে। যোগ দেন জনতা দলে। ১৯৮৮ সালে তিনি রাজ্যসভার সদস্য হন পার্টির তরফে। ১৯৯৬ সালে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র হয়ে ওঠেন। এরপর ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত লাগাতার হাজারিবাগ কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদ হন।
১৯৯৮ সালে তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তখন কেন্দ্রে অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমল। পরবর্তীকালে ২০০২ সালে যশবন্ত সিনহা কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্বভার পালন করেন। অবশ্য মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ান যশবন্ত। পরে দল ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান। দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি হন যশবন্ত। সেই পদ ছেড়ে এখন তিনি বিরোধী ঐক্যের সূত্রধর – রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী।