গুজরাটের মৌরবি সেতু ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল ৯ জনকে। এই সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ওরেভা গোষ্ঠীর ম্যানেজারও পুলিশের জালে। সেই ম্যানেজার দীপর পরেখই আদালতে এক আলটপকা মন্তব্য করলেন দুর্ঘটনা নিয়ে। বললেন, ‘এটা ভগবানের ইচ্ছে ছিল। তাই দুর্ভাগ্যজনক (মৌরবি সেতু ভেঙে যাওয়ার দুর্ঘটনা) ঘটনাটি ঘটে।’ এদিকে পুলিশের অভিযোগ, ‘সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতের নামে শুধুমাত্র প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেতুটি তারের উপর ঝুলত। কিন্তু সেই তারে কোনও তেল লাগানো হয়নি বা গ্রীসিং করা হয়নি। সেখান থেকেই তারটি ভেঙ্গে যায়। সেখানে মরচে ধরেছিস। তারের মেরামত হলে এ ঘটনা ঘটত না।’
উল্লেখ্য, অজন্তা ঘড়ির প্রস্তুতকারক ওরেভা গ্রুপকে এই ব্রিজের দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছিল মৌরবি পুরসভা। দুর্ঘটনার পর মৌরবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সন্দীপ সিং ঝালা সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৫ বছরের জন্য পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওরেভা কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছিল সেতুটি। চলতি বছরের মার্চ মাসে এটি সংস্কারের জন্য জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফের ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষে এটি খুলে দেওয়া হয়। সেতুটি খোলার জন্য কোম্পানিকে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল কি না তা আমাদের জানা নেই।’ পুর আধিকারিক আরও বলেন, সংস্কার কাজে কোম্পানিটি কী ধরনের সামগ্রী ব্যবহার করেছে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও তথ্য নেই।
উল্লেখ্য, গুজরাটের মৌরবি জেলার মচ্ছু নদীর উপরব্রিটিশ জমানার সেতুটি বিগত বেশ কয়েকদিন বন্ধ ছিল রক্ষণাবেক্ষণের কারণে। এরপর কয়েকদিন আগেই ফের পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল এই সেতুটি। এই আবহে রবিবার সন্ধ্যায় সেই ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ে। সেইসময় ব্রিজে কয়েকশো জন ছিলেন বলে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রচুর শিশু এবং মহিলা ছিল।এই আবহে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১৩০ জনেরও বেশি। অনেকেরই দেহ এখনও নদীবক্ষে কাদায় আটকে।