দক্ষিণ ইতালির উপকূলে নৌকাডুবি হয়ে অন্তত ২৪জন পাকিস্তানির মৃত্য়ু হয়েছে। তারা নৌকায় চেপে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন বলে খবর। সব মিলিয়ে ৫৯জন জলে ডুবে যান বলে খবর। পাথরের সঙ্গে নৌকাটির আঘাত লাগে। তারপরই ডুবে যায় নৌকাটি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ একথা জানিয়েছেন।
ইতালিয়ান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সব মিলিয়ে ৮১জন বেঁচে গিয়েছেন। ২০জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
সূত্রে খবর, তুরস্ক থেকে কাঠের নৌকাতে চেপে তারা ইতালিতে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। ইরান ও আফগানিস্তান থেকেও তারা এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
শেহবাজ শরিফ তাঁর একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইতালিতে প্রায় দু ডজন পাকিস্তানিকে নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনা দুঃখজনক ও উদ্বেগের। আমি বিদেশে দফতরকে নির্দেশ দিয়েছি যাতে এই ঘটনা নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ব্য়বস্থা নিতে হবে।
এদিকে ইউরোপে ঢোকার জন্য় অনেকেই তুরস্কের পথ ধরেন। ওই পথ ধরেই অনুপ্রবেশকারীরা অনেক সময় ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করেন। কখনও হেঁটে, কখনও আবার জাহাজের মধ্যে লুকিয়ে তারা ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এদিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রথমে তারা ইতালিতে যান। সেখানকার উপকূলে গিয়ে পৌঁছান। তারপর সেখান থেকে অন্য দেশে চলে যান। সেখান থেকে তারা উত্তর ইউরোপের দেশে চলে যান।
এদিকে সেই ২০১৪ সাল থেকে ইউনাইটেড নেশনস মিসিং মাইগ্রান্টস প্রজেক্টে অন্তত ১৭,০০০ মৃত্যুর খবর মিলেছিল। চলতি বছরে অন্তত ২২০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ইউরোপে প্রবেশের আগেই মৃত্যু হয় তাদের।
এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
মনে করা হচ্ছে ইরান ও আফগানিস্তান থেকে কাঠের নৌকাতে চেপে তারা ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তুরস্ক হয়ে তারা ইতালিতে নামার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু পথেই ইতালির উপকূলে উত্তাল জলপথে পাথরের সঙ্গে নৌকার সংঘর্ষ হয়। সেই সংঘর্ষে ছিটকে পড়েন যাত্রীরা। তার মধ্যে ৫৯জন মানুষ নিখোঁজ হয়ে যান। সেই যাত্রীদের মধ্যে অন্তত ২৪জনের খোঁজ মিলছে না। এদিকে এই উদ্বেগের রেশ এসে পৌঁছেছে পাকিস্তানেও।
অনেকের মতে,সুখী জীবনের হাতছানিতে অনেকেই ইউরোপে চলে যেতে চান। কিন্তু যাওয়ার পথেই ভয়াবহ বিপদ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup