ক্রমশ জটিল হচ্ছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি। একটানা বৃষ্টিতে পাঁচ জেলায় জলকবলিত মানুষের সংখ্যা ৩০,০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। বেড়েছে ব্রহ্মপুত্রের জলস্তর।
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, লখিমপুর, ধেমানজি, ডিব্রুগড়, দরং এবং গোয়ালপাড়া জেলার আটটি রাজস্ব সার্কেলের ১২৮ টি জেলায় বন্যার প্রভাব পড়েছে। জলের তলায় চলে গিয়েছে পাঁচ জেলার অনেক এলাকা। বন্যার কবলে পড়েছেন মোট ৩০,৭০১ জন। সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে গোয়ালপাড়ায়। সেখানের ৩৩ টি ত্রাণ শিবিরে প্রায় ৯,০০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হেক্টরের পর হেক্টর জমি। বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষের জমিতে জল ঢুকে গিয়েছে। শুধু লখিমপুর এবং ধেমানজি জেলায় ৫৭৯ হেক্টর শস্যের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ১২,০০০ গবাদি পশু এবং পোলট্রিও বন্যার কবলে পড়েছে।
কেন্দ্রীয় জল কমিশন অসমের জন্য বন্যার অ্যালার্ট পাঠিয়েছে। এ ছাড়াও মেঘালয় ও অরুণাচলে গত পাঁচ দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে ও আগামী তিন দিন এমনটাই চলবে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বঙ্গোপোসাগর থেকে ওই অঞ্চলে আসছে, খুব সহজে বৃষ্টি থামবে না, বলে জানিয়েছেন কে সাথী দেবী, জাতীয় আবহওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রের প্রধান।
এরইমধ্যে টানা বৃষ্টির জেরে সোমবার ব্রহ্মপুত্র-সহ একাধিক শাখা নদীর জলস্তর বেড়েছে। জাতীয় জল কমিশনের এস সি কলিতা সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেন, 'এলাকায় গত ১৬ মে থেকে টানা বৃষ্টির জেরে জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। প্রতি দু'তিন ঘণ্টায় জলস্তর ১-২ সেন্টিমিটার বাড়ছে।' সন্তিপুরে ব্রক্ষপুত্রের শাখানদী জিয়া ভারালি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। কামরূপে পুথিমারি নদীও লাল সীমানার উপর দিয়ে বইছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্রের জলসীমার কারণে ১০,৮০১ মানুষ প্রভাবিত হয়েছেন।