এই সময় বেড়াতে যাবে নাকি? যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের ‘হোম স্টে’ বুক করার হিড়িক

যাঁরা বুকিং করছেন তাঁরা চেক ইন করবেন না এটা ধরে নিয়েই বুকিং করছেন।

নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চলে যাচ্ছেন অনেকেই।( REUTERS) (REUTERS)

যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন। কান পাতলেই শোনা যায় গোলা বর্ষণের আওয়াজ। প্রাণ বাঁচাতে বহু মানুষ নিরাপদ জায়গায় চলে যেতে চাইছেন। আর সেই ভয়াবহ সময়ে গোটা বিশ্ব থেকে ভ্রমণপিপাসু লোকজন বুকিং করছেন ইউক্রেনের Airbnb। এই Airbnb হল মূলত আমেরিকার একটি কোম্পানি। তারা বিভিন্ন জায়গায় হোমস্টেতে থাকার ব্য়বস্থা করে। কিন্তু যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে কেন হোমস্টে বুক করার এত হিড়িক? আর এখানেই কাহিনীর শুরু।

 আসলে এখনই ইউক্রেনে থাকার ইচ্ছা কারোরই নেই। তবে হোম স্টে বুক করা মানে সেই বাড়ির মালিকের অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা যাবে। আর এই কষ্টের দিনে সেই টাকা কিছুটা হলেও সহায়তা করবে তাদের জীবনধারণের জন্য। এভাবেই কষ্টের মধ্যে থাকা মানুষগুলোর পাশে থাকতে চাইছেন গোটা বিশ্বের ভ্রমণপিপাসু মানুষ। এভাবে পাশে থাকার উদ্যোগ মন ছুঁয়ে গিয়েছে অনেকেরই। আর সেই বুকিংয়ের বেশিরভাগই হচ্ছে আমেরিকা থেকে।

CNN রিপোর্ট অনুসারে দেখা যাচ্ছে Airbnb এর মুখপাত্র জানাচ্ছেন গত ২রা ও ৩রা মার্চ ইউক্রেনে কাটানোর জন্য ৬১ হাজার রাত বুকিং করা হয়েছে। বুকিংয়ের সঙ্গে একজন লিখেছেন, একদিন ঠিক আপনাদের দেশে যাব। ভগবান আপনাদের সঙ্গে আছেন। আর ইউক্রেনের হোমস্টে অতিথিকে জানিয়েছেন, শান্তির কিভে একদিন স্বাগত জানাব আপনাকে। একেবারে মন ছুঁয়ে যাওয়া বার্তা।

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এনিয়ে রাতারাতি প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। আর যাঁরা বুকিং করছেন তাঁরা চেক ইন করবেন না এটা ধরে নিয়েই বুকিং করছেন। এভাবেই ইউক্রেনের পাশে থাকার উদ্যোগ।এভাবেই ৪৮ ঘণ্টায় ইউক্রেনের হোমস্টে মালিকদের কাছে গিয়েছে ১.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মার্কিন অতিথিরা বুক করেছেন ৩৪ হাজার রাত, ব্রিটেনের অতিথিরা ৮ হাজার রাত আর কানাডিয়ানরা বুক করেছেন ৩ হাজার রাত।