এলাকা নিয়ে দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে টানাপোড়েন। আর তার জেরে এক যুবকের মৃতদেহ দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকল রাস্তায়। রবিবার মধ্য প্রদেশের ছাতারপুর জেলায় পথ দুর্ঘটনা মৃত্যু হয়েছিল ওই যুবকের। তবে একদিকে, যেমন মধ্য প্রদেশ পুলিশ দাবি করেছে যে ওই এলাকাটি তাদের নয়, অন্যদিকে, উত্তর প্রদেশ পুলিশও একই ভাবে দাবি করেছে সেটি তাদের এক্তিয়ার বহির্ভূত এলাকা। আর দুই রাজ্যের পুলিশের এই টানাপোড়েনের জেরে কয়েক ঘণ্টা ধরে ওই যুবকের দেহ রাস্তায় পড়ে থাকে। শুধু তাই নয়, মৃত ব্যক্তির পরিবারের কোনও কথাও শোনেনি পুলিশ। এমনই অভিযোগকে কেন্দ্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে দুই রাজ্যের পুলিশ। শেষ পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশ পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
আরও পড়ুন : ভ্যাট থেকে উদ্ধার প্লাস্টিকে মোড়া দেহ, খুন নাকি অন্যকিছু! চাঞ্চল্য ঠাকুরপুকুরে
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহত যুবকের নাম রাহুল আহিরওয়ার (২৭)। তিনি উত্তরপ্রদেশের মাহোবারের বাসিন্দা। সদ্য বিয়ে হয়েছিল তার। দিল্লিতে তিনি শ্রমিকের কাজ করতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ঘটে দুর্ঘটনা। একটি গাড়ি তাকে চাপা দেয়। ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। এরপরেই শুরু হয় টানাপোড়েন।
এলাকার বাসিন্দারা দ্রুত মধ্যপ্রদেশের হরপালপুর থানাকে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দাবি করে যে দুর্ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের মাহোবা জেলার মহোবকান্ত থানার এক্তিয়ারভুক্ত। এই বলে তারা সেখান থেকে চলে যায়। তখন স্থানীয়রা মৃতদেহ পাহারা দেন। কিন্তু, তারা দেহ উদ্ধার করতেও পারেননি। পরে তারা উত্তরপ্রদেশ পুলিশকেও বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তবে একইভাবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশও জানিয়ে দেয় দুর্ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের সীমানায় ঘটেছে। তাই তারা কিছু করতে পারবে না। এরপর ঘটনাস্থল থেকে একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তাতে একজন আত্মীয়কে বলতে শোনা যায়, তার খুড়তুতো ভাই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে। কিন্তু পুলিশ দায় নিতে প্রস্তুত নয় । মধ্য প্রদেশ পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের রীতিমতো ধমক দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে এটা তাদের এলাকার মধ্যে পড়ে না। আবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশও একই কথা জানিয়েছে। তবে বিতর্কের মুখে পড়ে শেষমেষ চার ঘণ্টা পর মধ্যপ্রদেশ পুলিশ অবশেষে ঘটনাস্থলে ফিরে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।