মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরণ ভর্তি যে গাড়ি মিলেছিল, তার মালিকের মৃতদেহ উদ্ধার হল শুক্রবার সকালে। মুম্বই সংলগ্ন ঠানের একটি খাঁড়ি থেকে হিরেন মনসুখের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার তদন্তভার সন্ত্রাসবিরোধী শাখা এটিএসের হাতে তুলে দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।
এদিন এই বিষয় নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় হইচই করেন বিজেপির দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। তিনি বিষয়টি এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করেন। কিন্তু এই দাবি মেনে নেয়নি সরকার। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ বলেন যে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িটি হিরেন মনসুখের ছিল না। কিন্তু গাড়িটি তার হেফাজতে ছিল। কি ভাবে মৃৃত্যু ঘটেছে সেটা ময়নাতদন্তের পরে বোঝা যাবে বলে তিনি জানান।
তবে পুরো ঘটনাটির মধ্যে বড় ষড়যন্ত্র আছে বলে মনে করছেন ফড়ণবীশ। তাঁর দাবি সব কিছুই এতটা কাকতালীয় কীভাবে হল। রাজ্য সরকার মূল সাক্ষীকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে তিনি জানান। ফড়ণবীশ বলেন যে হিরেনের সঙ্গে সচিন ভাজে বলে এক পুলিশ অফিসারের ঘন ঘন কথা হত। দুজনেই ঠানেতে থাকত। যখন পরিত্যাক্ত গাড়িটি পাওয়া যায়, তখন স্থানীয় পুলিশের আগেই ভাজে সেখানে পৌঁছে যায়। এই সব ঘটনা কি নেহাতই কাকতালীয়, প্রশ্ন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। অনিল দেশমুখের অবশ্য দাবি যে সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতার করেছিল ভাজে। সেই কারণেই বারবার তাঁর নাম জড়ানোর চেষ্টা করছে বিরোধীরা।