Covid-19 প্রতিষেধক তৈরিতে শিম্পাঞ্জির দেহে থাকা সাধারণ সর্দি-কাশি সংক্রমণকারী ভাইরাসের সাহায্য নিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
গবেষণাপত্রের নেতৃত্বে থাকা বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু পোলার্ড জানিয়েছেন, ‘নতুন ভ্যাক্সিনটি প্রস্তুত করা হয়েছে আদতে শিম্পাঞ্জির শরীরে সাধারণ সর্দি-কাশি সংক্রমণকারী অ্যাডেনোভাইরাস (ChAdOx1) ব্যবহার করে। এ ক্ষেত্রে ভাইরাসটির শক্তি কমানো হয়েছে যাতে তা মানবদেহে রোগ না ছড়ায়। সেই সঙ্গে তার জেনেটিক রূপান্তর ঘটিয়ে তার সাহায্যে মানবদেহ আক্রমণকারী করোনাভাইরাসের (SARS-CoV-2) স্পাইক প্রোটিন কোড নির্ণয়ে সহায়ক করা হয়েছে।’
তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, ‘করোনা আক্রান্ত মানবদেহে এই রূপান্তরিত অ্যাডেনোভাইরাস প্রয়োগ করলে সেই কোডটিও দেহকোষে প্রবেশ করে। এর জেরে আক্রান্তের দেহকোষ ওই স্পাইক প্রোটিন উৎপাদনে সক্ষম হয় এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দেহে ঘুরে বেড়ানো ও সংক্রমিত কোষে আঘাত হানা করোনাভাইরাস-কে চিহ্নিত করতে শেখায়।’
পোলার্ড জানিয়েছেন, ‘এর ফলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাসটিকে মনে রাখতে পারে, যার জেরে আমাদের ভ্যাক্সিন দীর্ঘ দিন ধরে মানুষকে রক্ষা করতে পারে। তবে করোনাভাইরাস প্রতিষেধক হিসেবে ঘোষণা করার আগে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন। একই সঙ্গে দেখা দরকার, কত দিন এই রক্ষা কবচ মানবদেহে কাজ করে।’