দুই দিন আগেই অক্সিজেনের অভাবে গোয়ায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন করোনা রোগী। আর এদিন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে প্রাণ হারালেন ১৫ করোনা রোগী। এর আগে বম্বে হাইকোর্টের গোয়া বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল, যেভাবেই হোক অক্সিজেনের ঘাটতি যাতে না দেখা দেয় হাসপাতালে। তা সত্ত্বেও এদিন গোয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভোর রাত ২টো থেকে সকাল ৬টার মাঝে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। যার জেরে প্রাণ হারান ১৫ জন।
এদিকে এই ঘটনায় গোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রাণের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন বেন্টো লরেনা। বেন্টো নিজে বিজেপির নেতা। তিনি এই বিষয়ে বলেন, 'গোয়ায় অক্সিজেনের অভাবের ঘটনা ইচ্ছাকৃত ভাবে করা হচ্ছে এবং এই পুরো ঘটনা স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রাণের মস্তিষ্কপ্রসূত।'
এদিকে গোয়ায় অক্সিজেনের অভাবে পরপর রোগী মৃত্যুকে ঘিরে মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মধ্যে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। চিকিৎসার গাফিলতি না কি অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। এই ঘটনায় হাইকোর্টের তদন্তের দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রাণে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আরও দাবি, মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এদিকে মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেন প্রেশার ঠিক রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত।
অপরদিকে মঙ্গলবার বম্বে হাইকোর্টের গোয়া বেঞ্চে একটি হলফনামায় গোয়া সরকার জানিয়েছে, কেন্দ্র অক্সিজেন বণ্টনের মাত্রা ১১ মেট্রিক টন থেকে বাড়িয়ে ২৬ মেট্রিক টন করেছে। কিন্তু রাজ্যের দিনে প্রয়োজন ৫৫ মেট্রিক টন অক্সিজেন। প্রয়োজনীয় ৩৫ মেট্রিক টন বাজার থেকে কেনার ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। তবে এত কিছুর মাঝেও অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যু অব্যাহত।