আজ গোয়া সফরে রওনা হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২২ সালে গোয়াতে বিধানসভা নির্বাচন। এখানে মহিলা ভোটব্যাঙ্ক পেতে ইতিমধ্যেই গৃহলক্ষ্মী প্রকল্প ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক পরিবারের মহিলাদের পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের এই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিকেই কটাক্ষ করলেন গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা তথা দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম।
এই প্রকল্প নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের গোয়া ইনচার্জ তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইট করেন, এই নতুন প্রকল্প চালু হলে, এখানের বহু পরিবারের মাসিক নিশ্চিত আয় হবে। পাল্টা টুইটে কটাক্ষ করে চিদম্বরম লেখেন, ‘এই সহজ অঙ্কের জন্য অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত। সাড়ে তিন লক্ষ পরিবারকে মাসিক ৫ হাজার টাকা দিলে মাসে খরচ হবে ১৭৫ কোটি টাকা। বছরে টাকার অঙ্ক গিয়ে দাঁড়াবে ২১০০ কোটি। যে গোয়া ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত দেনার পরিমান ২৩ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা, সেখানে টাকার এই অঙ্ক খুব ক্ষুদ্র। এখন কী বলা উচিত, ঈশ্বর গোয়ার মঙ্গল করুন, না কি ঈশ্বর গোয়াকে বাঁচান?’
এক ইঞ্চি জায়গা না ছেড়ে পাল্টা টুইট করেন মহুয়াও। তিনি লেখেন, ‘হ্যাঁ স্যার, সাড়ে তিন লক্ষ পরিবারকে মাসিক ৫ হাজার টাকা দিলে বছরে ২১০০ কোটি টাকা খরচ হবে যা গোয়ার মোট বাজেটের ৬ থেকে ৮ শতাংশ। অর্থনীতি বলে করোনা পরবর্তী সময়ে মানুষের হাতে আরও বেশি করে নগদ টাকা দেওয়ার কথা। কারণ এর ফলে মানুষের সাহায্য হবে।’
উল্লেখ্য, গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এখন সংগঠন মজবুত করছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে স্ট্র্যাটেজি সাজাতেই গিয়েছেন মমতা–অভিষেক। ইতিমধ্যেই এমজিপি জোট করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে। আম আদমি পার্টি জোট করার প্রস্তাব দিয়েছে। কংগ্রেসে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কংগ্রেস ভেঙে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনো ফেলেইরো–কে দলে নিয়ে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।