পদ্মা সেতু, বন্যা ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷
আগামী শনিবার পদ্মা নদীর ওপর নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত সেতুর উদ্বোধন করা হবে৷
সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়ার পর শত প্রতিকূলতার মধ্যেও তা বাস্তবায়নের কঠিন যাত্রায় সঙ্গে থাকায় দেশের মানুষের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘মানুষের কাছ থেকে যে অভূতপূর্ব সাড়াটা আমি পেয়েছিলাম, সেটাই কিন্তু আমার সাহস আর শক্তি৷… মানুষ আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন৷ তাঁদেরই সাহসে এই পদ্মা সেতু আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে৷’
আরও পড়ুন: স্বপ্ন পদ্মা সেতু: তিন সদ্যোজাতর নামে জুড়ে দেওয়া হল বাংলাদেশের গর্ব আর আবেগ
দেশে বন্যার ঝুঁকি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকে, সে কথা তুলে ধরে সরকারের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি থাকার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তিনি বলেন, ‘বন্যা শুরু হয়েছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্যার ঝুঁকিটা আমাদের থাকে, জলটা নেমে আসবে দক্ষিণ অঞ্চলে৷ সেজন্য আগাম প্রস্তুতি আমাদের আছে৷’
সিলেট অঞ্চলে এবারের ভয়াবহ বন্যার কথা তুলে ধরে সেখানে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আগেই নির্দেশ দিয়েছিলাম, জল যাতে দ্রুত নেমে যেতে পারে, প্রয়োজনে রাস্তা যেন কেটে দেয়৷ এটাও আমাদর একটা শিক্ষা, কোন জায়গা থেকে দল নিষ্কাশন হচ্ছে, কারণ আমাদের এখানে তো বন্যা আসবেই৷ সেটা চিহ্নিত করে রাখতে বলেছি, সেখানে ব্রিজ, কালভার্ট এমনভাবে করে দেব, যাতে পানি জমা থাকতে না পারে৷’
ওই অঞ্চলে আরও বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র করার পাশাপাশি বন্যার কথা মাথায় রেখে অবকাঠামো করার কথাও বলেন সরকার প্রধান৷ তিনি বলেন, ‘অনেকদিন এরকম বন্যা হয়নি, আবার বন্যা আসলো৷ সেইভাবে অবকাঠামো তৈরি করতে হবে৷’ বন্যার পর কৃষক যেন কৃষিকাজ করতে পারে, সেজন্য বীজ, সারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি৷
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ: পদ্মা সেতু সবার গর্ব! ব্যবসার ক্ষতির কথাও ভাবছেন না লঞ্চ মালিকরা
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে জানান৷ এছাড়াও যাঁরা বন্যার মধ্যে কষ্ট করে কাজ করেছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)