আফগান ভূখণ্ডে পাকিস্তানি বায়ুসেনার হেলিকপ্টার হামলায় বেজায় চটেছে আফগানিস্তানের শাসক গোষ্ঠী তালিবান। আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবিবার তালিবান প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলেন, কোনও ভাবেই দখলদারি মেনে নেওয়া হবে না। উল্লেখ্য, এর আগে তালিবানের তরফে অভিযোগ করা হয় যে পাক হেলিকপ্টার হামলায় আফগানিস্তানের খোস্ত এবং কুনার প্রদেশে বহু মানুষ মারা গিয়েছেন। এরপরই তালিবানের পক্ষ থেকে এই কড়া প্রতিক্রিয়া এল।
এদিকে পাকিস্তানের তরফে আফগানিস্তানকে ‘ভাই’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। এই এয়ারস্ট্রাইক প্রসঙ্গে কোনও বাক্য খরচ করেনি ইসলামাবাদ। এই আবহে তালিবান প্রশাসনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লাহ মহম্মদ ইয়াকুব বলেন, ‘আমরা বিশ্ব এবং আমাদের প্রতিবেশী উভয়ের থেকেই সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি। কুনারে আমাদের ভূখণ্ডে তাদের আক্রমণ এর স্পষ্ট উদাহরণ। আমরা আর এই আগ্রাসন সহ্য করতে পারি না। আমরা বহুদিন এই ধরনের হামলা সহ্য করেছি। জাতীয় স্বার্থে আমরা তা সহ্য করেছি, কিন্তু পরের বার হয়ত তা আর সহ্য করব না আণরা।’ এর আগে গত সপ্তাহে পাক এয়ারস্ট্রাইকের প্রতিবাদ জানাতে আফগানিস্তানে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল তালিব প্রশাসন।
আরও পড়ুন: কট্টর ডানপন্থার হার ফ্রান্সে, আরও ৫ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ম্যাক্রোঁ
এদিকে তালিবান মন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানি বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি তা এড়িয়ে যান। উলটে বলেন, দুই দেশের মধ্যে শান্তি বিরাজ করতে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ভাইয়ের মতো দুই দেশ। উভয় দেশের সরকার এবং জনগণ সন্ত্রাসবাদকে একটি গুরুতর হুমকি হিসাবে বিবেচনা করে এবং দীর্ঘকাল ধরে এই দুর্যোগে ভুগছে... অতএব, সীমান্ত সন্ত্রাস মোকাবিলায় সহযোগিতা করার জন্য আমাদের দুই দেশকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। এবং আফগানিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’