পাকিস্তানের কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস অপহরণকাণ্ডে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির ৩৩ সদস্যকে পাকিস্তানের সেনা নিকেশ করেছে বলে জানিয়েছে। পাক সেনার দাবি, অপহরণকারীদের হাত থেকে ট্রেনের সকলকে উদ্ধার করা গিয়েছে। ঘটনায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবের মাঝে প্রশ্ন উঠছে, এই আতর্কিত হামলা সম্পর্কে কি আঁচ পায়নি পাকিস্তান? পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের কাছে কী খবর ছিল? প্রশ্ন রয়েছে এই গোটা হাইজ্যাক কাণ্ড বালোচ বিদ্রোহীরা কীভাবে সংগঠিত করে? বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে পাকিস্তানের সেনা।
আফগানিস্তান থেকে স্যাটালাইট ফোনে যোগাযোগ?
পাকিস্তানের সেনার তরফে লেফ্টন্যান্ট জেনারেল শরিফ চৌধুরী বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি সম্পর্কে জানিয়েছেন,' ১১ মার্চ জঙ্গিরা রেল ট্র্যাকে দুপুর ১ টা নাগাদ বিস্ফোরণ ঘটায়। তারপর জাফর এক্সপ্রেস রুখে দেয়। রেল অফিসারদের মতে তখন ৪৪০ জন যাত্রী ছিলেন জাফর এক্সপ্রেসে।' এরপরই পাকিস্তান এই গোটা পর্ব ঘিরে আফগানিস্তানের দিকে আঙুল তোলে। বুধবার পাকিস্তানের সেনা কর্তা শরিফ চৌধুরী বলেন,' এই জঙ্গিদের সঙ্গে আফগানিস্তানে তাদের সমর্থন ও মাস্টারমাইন্ডদের যোগাযোগ ছিল স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে। আপনারা দেখেছেন গতকাল ১০০ জন যাত্রী নিরাপদে মুক্তি পেয়েছেন জঙ্গিদের হাত থেকে। আজও বিশাল সংখ্যাক যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।' পাকিস্তানের সেনার দাবি, তাদের কাছে যে গোয়েন্দা সূত্রের খবর ছিল, তাতেও দেখা গিয়েছে যে, এই ঘটনার সঙ্গে আফগানিস্তানের যোগ রয়েছে। গোটা পর্ব ধরে আফগানিস্তানে বালোচ আর্মির সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল বিএলএ সদস্যরা। এমনই দাবি পাকিস্তান সেনার। আফগানিস্তান নিয়ে সুর চড়া করে পাকিস্তানের সেনার তরফে বলা হয়েছে,' পাকিস্তান আশা করে যে অন্তর্বর্তীকালীন আফগান সরকার তার দায়িত্ব পালন করবে এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তার মাটি ব্যবহার বন্ধ করবে।' উল্লেখ্য, বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি দাবি করেছে, তারা ৫০ জনকে হত্যা করেছে।
এদিকে, পাকিস্তানে এই ট্রেন অপহরণে মোট কতজনের মৃত্যু হয়েছে সেই সংখ্যা স্পষ্ট নয় বলে জানাচ্ছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। পাকিস্তানের সংবাদপত্র দ্য ডন জানাচ্ছে, ট্রেনের চালক সহ ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই দুই পক্ষের গুলি যুদ্ধে।