ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী এবং বায়ুসেনা প্রধান অমরপ্রীত সিংয়ের হুঁশিয়ারির পরে কী হাঁটু কাঁপছে পাকিস্তানের? সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের 'উস্কানিমূলক' মন্তব্যের পরেই সেই চর্চায় শুরু হয়েছে। পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফাঁপা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'তাদের যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষের নিচে সমাধিস্থ হবে ভারত।' যদিও তাঁর বক্তব্যকে পাত্তা দিতে নারাজ ভারত।
আরও পড়ুন-'দিল্লি বাবা'- র ফোনে মিলল এসব কী! কীর্তিকলাপের জট খুলতেই চমকে উঠল পুলিশ
এক্স পোস্টে এক বার্তায় পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ভারতের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য আসলে তাদের হারানো বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনার ব্যর্থ চেষ্টা। এসব বক্তব্য শীর্ষমহলে চাপের ইঙ্গিত দেয় বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান আল্লাহর নামে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র, আমাদের রক্ষাকারীরা আল্লাহর সৈনিক। এবার ভারত ইনশাআল্লাহ তাদের বিমানগুলির ধ্বংসস্তূপের নিচেই কবরস্থ হবে। আল্লাহু আকবর।’ গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করেছিল ভারত। ৭ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানে সেনা অভিযান চালানো হয়। তার নাম দেওয়া হয় অপারেশন সিঁদুর। পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি এই অভিযানে ধ্বংস করা হয়। এরপর টানা চার দিন দুই দেশের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ চলেছে। গত ১০ মে ভারত এবং পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু এখনও দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে।
আরও পড়ুন-'দিল্লি বাবা'- র ফোনে মিলল এসব কী! কীর্তিকলাপের জট খুলতেই চমকে উঠল পুলিশ
এরমধ্যে গত শুক্রবার বায়ুসেনা দিবস উপলক্ষে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন অমরপ্রীত সিং। সেখানেই অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে তিনি জানান, একটি বিষয়ই ভারত এবং পাকিস্তানের এই সংঘর্ষে নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তা হল দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (এসএএম)। তার মাধ্যমে পাকিস্তানের মাটিতে ৩০০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে আঘাত হানতে পেরেছিল ভারত। বায়ুসেনা প্রধানের কথায়, ‘পাকিস্তানের এফ-১৬ এবং জেএফ-১৭ শ্রেণির পাঁচটি যুদ্ধবিমান আমরা ধ্বংস করেছি। ভারতের হামলায় পাকিস্তানের বেশ কিছু রেডার, কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার, রানওয়ে এবং হ্যাঙ্গার ধ্বংস হয়েছে।’ অন্যদিকে, জস্থানের অনুপগড়ে সেনাঘাঁটিতে দাঁড়িয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, 'পাকিস্তান যদি মানচিত্রে তাদের জায়গা ধরে রাখতে চায়, তাহলে রাষ্ট্রপোষিত সন্ত্রাসবাদ তাদের থামাতে হবে।' তিনি পরিষ্কার বলেন, 'ভারতীয় বাহিনী এবার কোনও সংযম দেখাবে না।' অর্থাৎ, ইসলামাবাদ যদি সন্ত্রাস রফতানি বন্ধ না করে, তাহলে 'অপারেশন সিঁদুর'-এর দ্বিতীয় সংস্করণ খুব বেশি দূরে থাকবে না বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। তার আগের দিনই পাকিস্তানকে চরম সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তারপর থেকেই কার্যত ফাঁপা বুলি আওড়ে চলেছে ভীত পাকিস্তান।