কুলভূষণ যাদব মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আবেদন করতে চাইছেন না, পাকিস্তানের এই দাবি সম্পূর্ণ খারিজ করল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে প্রাক্তন নৌসেনা অফিসারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে ইসলামাবাদ যাতে তিনি আপিল না করেন।
পুরো বিষয়টিকে প্রহসন বলে বর্ণনা করে ভারত বলেছে যে গত চার বছর ধরে পাকিস্তান যা চালিয়ে আসছে, ফের সেটাই করল তারা। কোনও সঠিক বিচার না করেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। জোর করে তাঁকে আপিল না করতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারত। একই সঙ্গে কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে কোনও বাধা ছাড়া দেখা করতে দিতে হবে, এই দাবিও করেছে নয়া দিল্লি।
ভারতের দাবি যে তারা কুলভূষণকে উকিল দিতে চাইলেও সেটাতে রাজি হয়নি পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক কোর্টের কথা ইসলামাবাদ মানছে না, শুধু মেনে চলার অছিলা করছে বলে দাবি ভারতের।
২০০৬ সালে চরবৃত্তির অভিযোগে বালুচিস্তান থেকে গ্রেফতার করা হয় যাদবকে। এক বছর পরে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় এক সামরিক কোর্ট। সেই মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করতে রাজি হচ্ছেন না বলেও দাবি পাকিস্তানের।
মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন করার সুযোগ থাকলেও কুলভূষণ সেটা করেননি বলে পাকিস্তানের দাবি। গত জুলাই বিশ্ব কোর্টে কুলভূষণ মামলায় পরাজিত হয় পাকিস্তান। বিচারকরা বলেন যে কুলভূষণকে কনসুলার অ্যাকসেস দিতে হবে ও তাঁর মৃত্যুদণ্ডের ফের রিভিউ করতে হবে।
এদিন পাকিস্তান বলেছে যে কুলভূষণ নিজেও এই আপিল করতে পারেন ইসলামাবাদ হাইকোর্টে। নয়তো তাঁর কোনও প্রতিনিধি বা ভারতীয় দূতাবাসের কোনও অফিসারও তাঁর হয় রিভিউ পিটিশন দায়ের করতে পারে।
পাকিস্তানের দাবি কুলভূষণের কাছে যে এই বিকল্প আছে সেটা তাঁকে জুন মাসের ১৭ তারিখ জানানো হয়। কিন্তু তিনি ফের রিভিউ পিটিশন না করে তাঁর করা মার্সি পিটিশনের কী হল সেটা জানতে চান।
পাকিস্তানের তরফ থেকে এদিন বলা হয়েছে যে তারা ভারতীয় দূতাবাসকে এই বিষয়টি জানিয়েছেন যাতে সময়সীমার মধ্যে রিভিউ পিটিশন করা যায়। ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস যে আদেশ দিয়েছিল, তা পাকিস্তান অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে চায় বলেই দাবি পাকিস্তানের।